Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
India-China Border

গলওয়ান-সংঘাতের পর চিন সীমান্তে সতর্ক ভারত, তিন বছরে পূর্ব লাদাখে ৬৮ হাজার সেনা মোতায়েন

সীমান্তে আস্থার পরিবেশ ফেরাতে সোমবার বৈঠকে বসছে ভারত এবং চিনের সেনা। তার আগেই সেনা সূত্রে জানা গেল, লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ট্যাঙ্ক-সহ নানা সমরাস্ত্র নিয়ে গিয়েছে ভারত।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৩ ০৯:৫৮
Share: Save:

গলওয়ানে সংঘাতের পর পূর্ব লাদাখের চিন সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে ৬৮ হাজার সেনাকে যুদ্ধবিমানে করে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছে ভারত। পাঠানো হয়েছে ৯০টি ট্যাঙ্ক। অন্যান্য অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রও বিশেষ যুদ্ধবিমানে পাঠানো হয়েছে সেখানে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) বরাবর এই সমরাস্ত্রগুলিকে আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি সূত্র মারফত এই খবর জানা গিয়েছে।

সীমান্তের ও পারে কোনও নির্মাণকাজ চলছে কি না, কিংবা সেনা সমাবেশ করা হচ্ছে কি না, তা নজরে রাখার জন্য বায়ুসেনার তরফে সু-৩০ এবং জাগুয়ার যুদ্ধবিমানকে পাঠানো হয়েছে। ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ‘বিতর্কিত’ অংশে যুদ্ধাস্ত্র মজুত রাখা হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থাকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। চিনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে এখনও স্থির ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি নয়াদিল্লি। এই আবহে সেনার এই পদক্ষেপ ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পারস্পরিক আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সোমবার বৈঠকে বসতে চলেছেন ভারত এবং চিনের শীর্ষ সেনা আধিকারিকেরা। সীমান্ত নিয়ে ১৯তম এই বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে বলে সেনা সূত্রের খবর। ভারতের তরফে এই বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল রশিম বালি।

এর আগে গত ২৩ এপ্রিল এসসিও বৈঠকের আগে সীমান্ত বৈঠকে বসেছিল ভারত এবং চিন। পূর্ব লাদাখের কাছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সেনা সরানো নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে পারেনি দু’পক্ষ। ২০১৭ সালে ডোকলাম সংঘাতের পর ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় ভারত এবং চিনের সেনা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়া— বার বার উত্তপ্ত থেকেছে ভারত-চিন সীমান্ত। প্রসঙ্গত, ভারত-চিনের মাঝে থাকা ম্যাকমাহন লাইনকে আন্তর্জাতিক সীমানা হিসাবে কখনওই স্বীকার করেনি চিন। চিনের বিরুদ্ধে একতরফা ভাবে সীমান্তের স্থিতাবস্থা নষ্ট করার অভিযোগ তুলেছে ভারত।

আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে হতে চলা জি২০ বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা জিনপিংয়ের। মূল বৈঠকের পাশাপাশি একটি পার্শ্ব বৈঠকও করতে পারেন ভারত এবং চিনের রাষ্ট্রপ্রধান। তা ছাড়া অল্প কয়েক দিন পরেই দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হতে চলা ব্রিকস সম্মেলনে মুখোমুখি হতে পারেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। তার আগেই সীমান্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মজবুত করতে চাইছে বেজিং এবং নয়াদিল্লি। কিছু দিন আগেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সীমান্তে শান্তি না ফিরলে চিনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল দেশের বিদেশ মন্ত্রক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

India China Ladakh LAC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE