Advertisement
E-Paper

পুরসভায় ব্যর্থতার পর নতুন লক্ষ্যে বিজেপি

পুরসভার অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর এ বার বিজেপির নজর করিমগঞ্জ হোলসেল কো-অপারেটিভের দিকে। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রচার সচিবের দায়িত্বে থাকা সুব্রত দেব হোলসেল কো-অপারেটিভের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। সেই পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দিতে চাইছে বিজেপির একটি মহল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৬ ০৩:১৪

পুরসভার অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর এ বার বিজেপির নজর করিমগঞ্জ হোলসেল কো-অপারেটিভের দিকে। জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রচার সচিবের দায়িত্বে থাকা সুব্রত দেব হোলসেল কো-অপারেটিভের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। সেই পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দিতে চাইছে বিজেপির একটি মহল।

পাথারকান্দির বর্তমান বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল যখন কংগ্রেসে ছিলেন তখন থেকেই তাঁর সঙ্গে সুব্রত দেবের মতান্তর সর্বজনবিদিত। পরে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিধায়ক হন তিনি। বর্তমানে পাথারকান্দির বিধায়ক কোনও ভাবে চাইছেন না সুব্রত দেব হোলসেল কো-অপারেটিভের চেয়ারম্যান পদে থাকুন। কো-অপারেটিভের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানোর পাশাপাশি করিমগঞ্জের জেলা দায়রা আদালত এবং গৌহাটি হাইকোর্টে বিজেপি সমর্থকদের দিয়ে দু’টি মামলা করানো হয়েছে। হোলসেল কো-অপারেটিভ যাতে সাধারণ সভা করতে না পারে সে বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ চাওয়া হয়েছে। কিন্তু একটি মামলা হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। অন্য মামলায় চার সপ্তাহের মধ্যে জেলাশাসক-সহ অন্যান্যদের হাইকোর্টে হাজির থাকার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। কিন্তু সাধারণ সভা বাতিল করেনি আদালত।

আগামীকাল করিমগঞ্জ হোলসেল কো-অপারেটিভের সাধারণ সভা। এ নিয়ে কংগ্রেস-বিজেপির মধ্যে পুনরায় টানাপড়েন শুরু হয়েছে। উভয় পক্ষই কো-অপারেটিভ দখলে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। আদালতে বিজেপির স্বপ্ন বাস্তবায়িত না হওয়ায় এবার প্রশাসন যন্ত্রকে ব্যবহার করে সভা বানচাল করতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। এ ছাড়াও আগামী কালের সাধারণ সভায় বিজেপি গণ্ডগোল পাকিয়ে সভা ভন্ডুল করার পরিকল্পনা করছে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। সে কারণে হোলসেল কো-অপারেটিভের তরফ থেকে পুলিশের কাছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী চাওয়া হয়েছে। অবশ্য কো-অপারেটিভের চেয়ারম্যান সুব্রতবাবু জানান, গত ৫ বছরে প্রতিষ্ঠানটি চরম সাফল্য দেখিয়েছে। ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠানের কর্মী সংখ্যা ছিল ৩০। বর্তমানে কর্মীর সংখ্যা ৬৭। কর্মীদের মাসিক বেতন বাড়ানো হয়েছে। পুজো-বিহুর সময় ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বোনাস দেওয়া হয়েছে। যা হোলসেল কো-অপারেটিভের ইতিহাসে নজিরবিহীন। ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠানের মাসিক গড় আয় ছিল গড়ে ২ লক্ষ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে ১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। সে সময় প্রতিষ্ঠানের ফিক্সড ডিপোজিট ছিল ২৫ লক্ষ টাকা। এখন সেই পরিমাণ ৯০ লক্ষ টাকা। তাঁর মতে, এ সব কারণেই তাঁকে সরিয়ে দিতে চাইছেন পাথারকান্দির বিজেপি বিধায়ক। অবশ্য পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল জানিয়েছেন, ভাঙ্গাগড়ার রাজনীতিতে তিনি নেই। বিজেপির কোনও সদস্য পরিবর্তন চাইতে পারেন। সেটা তার চাওয়া নয় বলেই কৃষ্ণেন্দুবাবু জানান।

BJP no-confidence vote
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy