শাহজাহান শেখকে বাঁচাতে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে ছুটছেন। অথচ আইনি অধিকার বলে অর্জিত ১০০ দিনের কাজের টাকা আদায়ে সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন না কেন? ভিড়ে ভরা লালগোলায় নির্বাচনী জনসভা থেকে রাজ্য সরকারের কাছে এই প্রশ্নের জবাব চাইলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চোধুরী।
মঙ্গলবার লালগোলা ও ভগবানগোলায় বিপুল ভিড়ে জোড়া সভা করলেন অধীর ও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
অধীরের প্রশ্ন, ‘‘মনে পড়ে কোভিডের সময় মুর্শিদাবাদের শ্রমিকেরা যখন বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েন তখন ৫০টি ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তখন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে সে ট্রেন ঢোকার অনুমতি দেননি। রাজ্যের শ্রমিকদের ওই ট্রেনকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ‘করোনা এক্সপ্রেস’। আজ মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীর ভান্ডার কেড়ে নেওয়ার ভয় দেখাচ্ছেন। মনে রাখবেন এগুলি সরকারি প্রকল্প, ইচ্ছে মতো বন্ধ করা যায় না। তবে মহিলারা জেনে রাখুন, আমরা যদি দিল্লিতে ক্ষমতায় আসি তবে তাঁদের জন্য মহালক্ষ্মী ভান্ডার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছি। বছরে পরিবারের এক জন মহিলা এক লক্ষ টাকা পাবেন। স্নাতক পাশ ৪০ শতাংশ যুবক বেকার। তাঁদের এক লক্ষ টাকা খরচ করে প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরি পাওয়ার আইনি অধিকার দেবে কংগ্রেস।”
অধীর বলেন, “এ রাজ্যে এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে দিদি ও মোদী। দেশে ১৪টি রাজ্য বিজেপি শাসিত। সেখানে কেন এরআরসি চালু করতে পারেনি? এ রাজ্যের ৯ জন তৃণমূল সাংসদ সিএএ বিল যে দিন সংসদে পাশ হয়, সে দিন কেন ভোট দেননি তার বিরুদ্ধে? তাঁদের মধ্যে জঙ্গিপুরের বিড়িওয়ালা প্রার্থীও আছেন। অধীরের দাবি, ‘‘যে বিজেপির এ রাজ্যে কিছু ছিল না আজ এ রাজ্যে তাদের ৭৭ জন বিধায়ক, ১৮ জন সাংসদ? দিদি, মোদীর এই নাটকে ভুলবেন না।”
সেলিম বলেন, “এ বারের লোকসভা ভোট সেমিফাইনাল, ২০২৬ সালে ফাইনাল হবে। আজ বাংলা জেগেছে। যাঁরা কংগ্রেস করেন না, সিপিএম করেন না, তাঁদের মনেও আশা জেগেছে। ৫৬ ইঞ্চিও কাজে আসবে না, ৩৫৬-ও কাজে আসবে না। বাংলার ভাগ্য বাংলার মানুষ ঠিক করবে। সরকারি প্রকল্পে টাকা লুট আমরা বন্ধ করব।”
জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান বলেন, “বিজেপিকে জেতাতে বিরোধী জোট মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। বিজেপিকে দেশে রুখতে পারে এক মাত্র তৃণমূল।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)