শ্রীনগরে লোকসভা উপ-নির্বাচনের ঠিক আগের দিন অল্পের জন্য জঙ্গিদের হাত থেকে রেহাই পেলেন শাসক দলের দুই নেতা। উপত্যকার অন্যান্য অংশেও ভোট প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে হিংসা চালিয়েছে জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
শ্রীনগরের পরে ১২ এপ্রিল উপ-নির্বাচন হবে অনন্তনাগ লোকসভা কেন্দ্রেও। আজ অনন্তনাগ কেন্দ্রের ভোটের জন্য আছাবল এলাকায় জনসভায় হাজির হন পিডিপি-র দুই নেতা পীর মনসুর এবং চৌধুরি জুলফিকার আলি। রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী জুলফিকার আলি থাকায় নিরাপত্তা আরও জোরদার করে পুলিশ ও আধাসেনা। সভা চলাকালীনই জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয় বাহিনীর। কিছু ক্ষণ লড়াইয়ের পরে পালায় জঙ্গিরা। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশের অবশ্য দাবি, সভার উপরে হামলা চালায়নি জঙ্গিরা। তারা বাহিনীর টহলদারি দলকে আক্রমণ করে ভোটারদের ভয় দেখাতে চেয়েছিল।
হিংসা থেকে মুক্তি পায়নি শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রও। চাদুরার হায়াতপোরা এলাকায় বুথে যাওয়ার পথে নির্বাচন কর্মীদের লক্ষ করে পাথর ছোড়ে বিক্ষোভকারীরা। জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। অন্য দিকে বীরওয়াহা এলাকায় একই কায়দায় বুথগামী সিআরপিএফ জওয়ানদের লক্ষ করে পাথর ছোড়ে জনতা। বিক্ষোভকারীদের হটাতে শূন্যে গুলি ছোড়ে বাহিনী। বাদগাম জেলার ইয়ারিপোরায় একটি পোলিং বুথে আগুন ধরানোর চেষ্টা করে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল।
কাশ্মীরে সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতির জন্য ভোটের প্রস্তুতিতে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। খুলে গিয়েছে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কও।
আরও পড়ুন: যোগী-রাজ্যে ইংরেজি পাঠ নার্সারি থেকে
শ্রীনগর লোকসভা কেন্দ্রে এ বার কার্যত সরাসরি লড়াই ন্যাশনাল কনফারেন্স ও কংগ্রেসের যৌথ প্রার্থী ফারুক আব্দুল্লা এবং পিডিপি-র নাজির আহমেদ খানের। লাগাতার অশান্তি ও সন্ত্রাসের মধ্যে উপত্যকার ভোটাররা কী সিদ্ধান্ত নেন, তার উপরে সতর্ক নজর রাখছে কেন্দ্রও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy