Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

দুর্নীতির অভিযোগে ঘেরাও পুরপ্রধান

পুরবোর্ড গঠনের একমাস পেরিয়েছে। এরই মধ্যে বিরোধী বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের হাতে ঘেরাও হয়ে গেলেন হাইলাকান্দি পুরপ্রধান শ্যামলী রায়কে। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, পুরসভার বিভিন্ন জলহিতকর প্রকল্পের ব্যাপারে নিয়ম মেনে আগাম কোনও প্রচার করা হচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষ এই সব প্রকল্পের সুযোগ নিতে পারছেন না। অথচ প্রকল্প রূপায়ণের জন্য তলে তলে তৈরি হয়ে যাচ্ছে বেনিফিসিয়ারি বা উপভোক্তা তালিকা।

অমিত দাস
হাইলাকান্দি শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৫ ০২:৫৯
Share: Save:

পুরবোর্ড গঠনের একমাস পেরিয়েছে। এরই মধ্যে বিরোধী বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের হাতে ঘেরাও হয়ে গেলেন হাইলাকান্দি পুরপ্রধান শ্যামলী রায়কে।

বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, পুরসভার বিভিন্ন জলহিতকর প্রকল্পের ব্যাপারে নিয়ম মেনে আগাম কোনও প্রচার করা হচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষ এই সব প্রকল্পের সুযোগ নিতে পারছেন না। অথচ প্রকল্প রূপায়ণের জন্য তলে তলে তৈরি হয়ে যাচ্ছে বেনিফিসিয়ারি বা উপভোক্তা তালিকা। কংগ্রেসি পুরবোর্ড স্বজনপোষণ করছে বলে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ। আজকের ঘেরাও কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির মহিলা মোর্চার সম্পাদক অনামিকা আচার্য। তিনিবলেন, ‘‘পুরপ্রধান কার্যত পুতুলের ভূমিকা নিয়েছেন। অন্যের অঙ্গুলি হেলনে চলছেন।’’ বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, অসম লাইভলিহুড মিশনের অধীনে স্বরোজগার যোজনায় বিভিন্ন বিভাগের উপভোক্তা তালিকা তৈরি হচ্ছে। অথচ শহরবাসী তা জানেই না। নিয়ম অনুযায়ী, এই তালিকা তৈরির আগে প্রয়োজনীয় প্রচার করতে হবে। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে আবেদন নিতে হবে। এবং সেই অনুযায়ীই উপভোক্তা তালিকা তৈরি করা হবে। কংগ্রেসের পুরবোর্ড এ সব কিছুই করেনি।

আড়াই ঘন্টা ধরে বিজেপি কর্মীরা পুরপ্রধান শ্যামলী দেবীকে ঘেরাও করে একের পর এক প্রশ্ন ছুড়তে থাকেন। ঘেরাওকারীদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত পুরপ্রধানকে এক সময় চুপ করে বসে থাকতে দেখা যায়। শ্যামলী দেবীর পাশে বসা পুরসভার এক প্রাক্তন কর্মী পুরনেত্রীর ঢাল হয়ে প্রশ্নের জবাব দিয়ে যান। প্রকল্প গোপন রাখা নিয়ে বিজেপির অভিযোগের বিষয়ে পুরপ্রধানের হয়ে কংগ্রেসের পুর-সদস্য অরুন দাস বলেন, ‘‘সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচার করা হয়েছে। আগামী দিনে সেই প্রচার আরও ব্যাপক ভাবে করা হবে।’’ পুরপ্রধান পরে স্বীকার করেন, ‘‘কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য প্রচার কম হয়েছে। তবে আগামী দিনে এই সমস্যা আমরা কাটিয়ে উঠব বলেই আসা করছি। সব ঠিক হয়ে যাবে।’’ বিজেপি নেতা মানব চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুরসভার কাজকর্মে যদি এই রকম গোপনীয়তা নিয়ে চলা হয়, স্বজনপোষণ করা হয় তবে আমরা শহর জুড়ে আন্দোলন গড়ে তুলব।’’

এ দিকে, হাইলাকান্দি জেলার লালা পুরসভার কংগ্রেসি পুরবোর্ডের বিরুদ্ধেও একই ধরনের অভিযোগ এনেছে বিজেপি। দু’দিন আগে সেখানেও পুরপ্রধান বিজয়লক্ষ্মী দেবনাথকে বিজেপি কর্মীরা ঘেরাও করে। তাদের অভিযোগ, সরকারি প্রকল্প গোপন রেখে অর্থ আত্মস্যাতের ছক কষছে পুরবোর্ড।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE