ব্রডগেজ চালু পর চার মাসও ওই লাইনে ট্রেন চালানো যায়নি। পাহাড় লাইন পেরনো মুশকিল বলে বাইরের সঙ্গে বরাকের যোগাযোগ পুরো বন্ধ। তার উপর অভ্যন্তরীণ ট্রেনগুলির দিন-তারিখ, সময়সূচি নিয়েও যন্ত্রণা বাড়ছে। ক্ষুব্ধ যাত্রীরা আজ শিলচর স্টেশনে বিক্ষোভ দেখায়।
দু’দিন আগে আচমকা উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল শিলচর-হাফলং ট্রেন চালু করে। প্রতি দিন ভোর ৫টায় রওনা, দুপুর আড়াইটেয় শিলচর ফিরে আসা। তার জেরে বদলে দেওয়া হয় করিমগঞ্জ, আগরতলা ও জিরিবাম চলাচলকারী ট্রেনগুলির সময়ও। এতে মুশকিলে পড়েন শিলচর-করিমগঞ্জ যাত্রীরা। নতুন সূচি মেনে গত কাল থেকে করিমগঞ্জ-শিলচর ট্রেন সকাল ৬টায় ছাড়ছে। আর শিলচর থেকে করিমগঞ্জ হয়ে যেটি আগরতলা যাচ্ছে, সেটি ছাড়া হচ্ছে বেলা ১১টায়।
ইকবাল হোসেন লস্কর, নীলাঞ্জনা গুপ্ত, মুস্তাক আহমদ লস্করের মতো নিত্য অফিসযাত্রীদের বক্তব্য, অনেক বছর ধরে বেহাল রাস্তায় প্রতি দিন চলাচল করেছেন তাঁরা। আশায় ছিলেন, রেল চলবে। এখন রেল চললেও সমস্যা মিটছে না। দু’টি ট্রেন থাকলেও সকাল ১০টায় অফিসে পৌঁছনোর জন্য কোনওটিতে ওঠা যাচ্ছে না।
তাঁদের দাবি, করিমগঞ্জ থেকে আসা যাত্রীদের কথা ভেবে শিলচর-করিমগঞ্জ ট্রেনের সময় বদলানো হয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায়। সে ক্ষেত্রে শিলচর-আগরতলা ট্রেনটিকে আগের মতো সকাল ৯টাতেই চালালেই সমস্যা মিটে যায়। তাঁরা শিলচরের স্টেশন সুপার বিপ্লব দাসের সঙ্গে দেখা করে একটি স্মারকপত্র পেশ করেন। হুমকি দিয়েছেন, সাত দিনের মধ্যে সময়সূচি বদল না হলে তাঁরা আন্দোলনে নামবেন।
এ দিকে, আচমকা এ দিন সকালে রেল কর্তৃপক্ষ শিলচর-হাফলং ট্রেন সপ্তাহে পাঁচ দিন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনি ও রবিবার ট্রেন চলবে না ওই রুটে। এতে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে হাফলং-শিলচর যাত্রীদের মধ্যে।
স্টেশন সুপার বিপ্লববাবু জানিয়েছেন, হাফলং-লামডিং অংশে ট্রেন চলাচল বন্ধ বলে বাইরে থেকে কোনও কামরা বা ইঞ্জিন আনা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে যে ক’টি রয়েছে, সেগুলি দিয়েই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বিভিন্ন রুট চালু রাখতে হচ্ছে। তাই সময়সূচি বদলের প্রয়োজন পড়ে। অন্য দিকে, চলতি কামরায় নিয়মিত মেরামতি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন। তাই হাফলং রুটে শনি ও রবিবার ট্রেন না চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিপ্লববাবু জানান, আজ শনিবার হলেও পুরনো রুটিনে ট্রেন চলেছে। তবে আগামী কাল থেকেই নতুন সময় কার্যকর করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy