Advertisement
E-Paper

ডোকলাম বিবাদ নিয়ে মার্কিন চাপ বেজিংকে

ভারতীয় কূটনীতিকদের মতে, পেন্টাগনের বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ডোকলাম নিয়ে ভারত গোড়া থেকেই আলোচনা চাইছে। বরং চিনই জানিয়েছে, ভারত সেনা না সরালে কোনও বৈঠক সম্ভব নয়।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৭ ০৩:৫০

কোনও ‘চাপ’ না দিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চিনকে বার্তা দিল আমেরিকা।

সিকিম সীমান্তের ডোকলামে ভারত ও চিনের টানাপড়েন মেটাতে দু’দেশের আলোচনা চেয়ে আগেও বিবৃতি দিয়েছে মার্কিন বিদেশ দফতর। কিন্তু আজ মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের মুখপাত্র গ্যারি রস বলেন, ‘‘দু’দেশের উচিত বিষয়টি মেটাতে সরাসরি আলোচনায় বসা। সেই আলোচনার সময়ে একে অপরকে চাপ দিলে চলবে না।’’

ভারতীয় কূটনীতিকদের মতে, পেন্টাগনের বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, ডোকলাম নিয়ে ভারত গোড়া থেকেই আলোচনা চাইছে। বরং চিনই জানিয়েছে, ভারত সেনা না সরালে কোনও বৈঠক সম্ভব নয়। কিন্তু দিল্লি সেনা সরালেই ভারত, ভুটান ও চিনের সীমান্তের ওই মিলনস্থলের স্থিতাবস্থা যে নষ্ট হয়ে যাবে তা আগেই জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। ফলে আমেরিকা পরোক্ষে চিনকেই চাপ দিয়েছে বলে মনে করছে সাউথ ব্লক।

আরও পড়ুন: কথা বলে বিরোধ মেটাও, ভারত-চিন দু’পক্ষকেই পেন্টাগনের বার্তা

ভারতীয় কূটনীতিকদের মতে, চিন বিভিন্ন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা মেটাতে চাপ দেওয়ার কৌশল নিয়েছে। তা নিয়ে ক্ষুব্ধ আমেরিকাও। সম্প্রতি মার্কিন আইনসভা কংগ্রেসের একটি কমিটিকে চিন নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দেন সে দেশের বায়ুসেনার কর্তা জেনারেল পল সেলভা। সেই রিপোর্টে তিনি জানিয়েছেন, চিন সীমান্ত সমস্যা মেটাতে অনেক ক্ষেত্রে তাদের আর্থিক ও বাণিজ্যিক শক্তিকেও কাজে লাগাচ্ছে। সামরিক বাহিনীর আধুনিকীকরণের দিকেও দ্রুত এগোচ্ছে বেজিং। ফলে, চিনের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে গেলে আমেরিকা ও তার মিত্র দেশগুলিকে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে বলে মনে করেন মার্কিন বায়ুসেনা কর্তা। এ জন্য মার্কিন সামরিক বাহিনীও চিনা সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়াবে বলে জানিয়েছেন সেলভা।

চলতি মাসেই ব্রিকস গোষ্ঠীর একটি বৈঠকে যোগ দিতে চিন যাচ্ছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সেই সময়ে ডোকলাম নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব করতে পারে ভারত। চিনা বিশেষজ্ঞেরাও মনে করছেন, এই বৈঠকে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। বেজিংয়ের বিশেষজ্ঞ সংস্থা ‘চায়না ইকনমিক ফোরাম’-এর সদস্য মা জিয়ালি বলেছেন, ‘‘ডোভালের সফর দ্বিপাক্ষিক টানাপড়েন কমানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।’’

Doklam China India US ডোকলাম
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy