বিরোধীদের আপত্তি উড়িয়েই সোমবার রাজ্যসভায় ‘সংশোধিত রেলওয়েজ় বিল, ২০২৪’ ধ্বনিভোটে পাশ করিয়ে নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। এর ফলে ভারতীয় রেলের যে কোনও ধরনের বেসরকারিকরণের পথ প্রশস্ত হল বলে আশঙ্কা করছে বিরোধীরা। যদিও গত ডিসেম্বরে লোকসভা বিল পাশের সময়ই কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এমন আশঙ্কার কথা খারিজ করেছিলেন। সোমবারও একই দাবি করেছেন তিনি।
সরকারের দাবি, রেলের পর্ষদের হাতে আরও বেশি ক্ষমতা দেওয়া, জোনাল রেলকে অর্থ খরচ করার প্রশ্নে আরও বেশি স্বাধীনতা প্রদানের মতো বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করতে ১৯০৫ এবং ১৯৮৯ সালের রেলওয়ে আইনকে যুক্ত করে ওই সংশোধনী বিল (২০২৪) আনা হয়েছে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, সরকারের আসল লক্ষ্য হল, রেলকে একাধিক নিগমে (কর্পোরেশন) ভেঙে দেওয়া এবং পরবর্তী ধাপে বাজারে হাতে থাকা নিগমের শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে রাজস্ব সংগ্রহ করা। বিষয়টি নিয়ে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের গোড়াতেই উত্তেজনা ছড়ায় সংসদের উচ্চকক্ষে।
খাবার পরিবেশন (কেটারিং), স্বচ্ছতা কিংবা স্টেশন নির্মাণের মতো কিছু বিষয় বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হলেও সামগ্রিক ভাবে রেল পরিচালনের মতো মূল বিষয় এখনও সরকারের হাতেই রয়েছে। রেলের সুরক্ষা, যাত্রী পরিষেবা, স্টেশনে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা, বাজেটে স্বচ্ছ্বতার অভাব, ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণের বিষয় থেকে দায় এড়াতে মোদী সরকার রেলের বেসরকারিকরণের পথে হাঁটতে চাইছে বলে রাজ্যসভায় সোমবার অভিযোগ করেন কংগ্রেস সাংসদ বিবেক তাঙ্খা। তাঁর সঙ্গে রেলমন্ত্রী বৈষ্ণবের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ও হয়। সংসদের দুই কক্ষে পাশ হওয়ায় এ বার রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেলেই বদলে যাবে রেল আইন।