বিহারের ভোটার তালিকার সংশোধনে যে সব অনুপ্রবেশকারীর নাম উঠেছে, তাদের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য প্রকাশ্যে সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ ভোটমুখী বিহারের সীতামঢ়ী জেলায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রকাশ্যে নির্বাচন কমিশনের পাশে দাঁড়ালেনঅমিত শাহ।
বিরোধীদের অভিযোগ, বিহারে বিরোধীদের ভোটব্যাঙ্কে সিঁদ কাটতেই ভোটার তালিকার পরিমার্জনে হাত দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার দাবিতে কার্যত অচল রয়েছে সংসদের বাদল অধিবেশন। এই আবহে আজ সীতামঢ়ীতে ‘সীতার জন্মস্থান পুনৌরাধাম মন্দিরের সংস্কার ও পুনর্নির্মান প্রকল্পে’র মঞ্চ থেকে অমিত শাহ বলেন, ‘‘অনুপ্রবেশকারীরা হলেন কংগ্রেস ও আরজেডির মূল ভোটব্যাঙ্ক। তাই ভোটব্যাঙ্ক হারানোর ভয়ে এত উতলা হয়ে উঠেছে ওরা।’’ কিন্তু বিরোধীরা যতই এ নিয়ে আন্দোলন করুক, ভোটার তালিকা থেকে অনুপ্রবেশকারীদের নাম বাদ দিয়েই ভোট হবে বলে জানিয়েছেন শাহ। যারা ভারতের বাসিন্দা নন, যাঁরা অনুপ্রবেশকারী, তাঁরা কোন যুক্তিতে এ দেশে ভোট দেন— এই প্রশ্ন তুলে শাহ বলেন, ‘‘সংশোধিত ভোটার তালিকা নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি যতই চেষ্টা করুন না কেন, অনুপ্রবেশকারীদের বাঁচাতে পারবেন না। তাঁদের নাম বাদ যাবেই। কারণ তাঁরা অযোগ্য।’’
শাহের দাবি, ভোটার তালিকার এ ধরনের পরিমার্জন নতুন নয়। অতীতে খোদ জহওরলাল নেহরুর নির্দেশে পারিমার্জনের কাজ হয়েছে বলে দাবি করেন শাহ। তাঁর কথায়, ‘‘এখনরাহুল নির্বাচনে হেরে যাওয়া নিশ্চিত জেনেই ভোটার তালিকার পরিমার্জনকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রচার করা শুরু করেছেন। এটা দ্বিচারিতা ছাড়া কিছু নয়।’’ শাহের দাবি, ‘‘বিরোধীরা যতই চেষ্টা করুন না কেন, এনডিএ-র জয় আটকানো সম্ভব নয়।’’ আজ নিজের বক্তব্যে পহেলগাম হামলার বিষয়টিওতুলে ধরে শাহ বলেন, ‘‘পহেলগাম হামলার প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের ভিতরে প্রবেশ করে হামলা চালায় ভারত। মারা যায় একাধিক জঙ্গি। আগের সরকার সন্ত্রাসবাদকে মদত দিলেও এই সরকার দেয় না।’’ শাহের কথায়, ‘‘এর পর আমজনতাকেই ঠিক করতে হবে, তারা অনুপ্রবেশকারীদের মদতদাতা কংগ্রেস-আরজেডির সঙ্গে থাকবেন, না কি শাসক শিবিরকেভোট দেবেন?’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)