বিদেশি চিহ্নিত হয়ে জেলে যাওয়া সেনাবাহিনীর প্রাক্তন সুবেদার ও অসম পুলিশের এসআই মহম্মদ সানাউল্লাহকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করল অসম পুলিশ। আজ তাঁর বাড়ি থেকে উর্দিও ফেরত নিয়ে যান পুলিশ কর্মীরা। তবে সানাউল্লাহর পক্ষে দাঁড়িয়েছে সৈনিক বোর্ড। তাদের তরফে সানাউল্লাহর পরিবারকে প্রয়োজনীয় আইনি সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
১৯৮৭ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া, কার্গিল যুদ্ধে অংশ নেওয়া প্রাক্তন সুবেদার অবসরের পর অসম পুলিশের এসআই পদে চাকরি করছিলেন। গত বছর তাঁর নামে সন্দেহজনক নাগরিকের নোটিস পাঠায় ফরেনার্স ট্রাইবুনাল। আদলতের মতে, তিনি বিভিন্ন নথিপত্র ও হলফনামায় নিজের নামের বিভিন্ন বানান লিখেছেন। তাঁর ঠাকুরদার নামের বানানেও মিল নেই। বয়স
নিয়ে ভোটার পরিচয়পত্র-সহ বিভিন্ন স্থানে ভুল তথ্য আছে। এনআরসিতে তাঁর মা ও বোনের বয়সের মিল নেই। তাঁর নামে ১৯৭৭ সালে জমি হস্তান্তরের দলিল দেখানো হয়,
কিন্তু তখন তিনি মাত্র ১০ বছরের বালক। এমন বিভিন্ন গরমিলকে হাতিয়ার করে সম্প্রতি ট্রাইবুনাল তাঁকে বিদেশি সাব্যস্ত করে ডিটেনশন শিবিরে পাঠিয়েছে। তাঁর সেনাবাহিনীর বিভিন্ন প্রমাণপত্র গ্রাহ্যই করেনি আদালত। সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেছেন সানাউল্লাহর পরিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy