রাজস্থানে গো-মন্ত্রী ওটারাম দিওয়াসি গো-হারান হেরেছেন। তা-ও নির্দল প্রার্থীর কাছে। ছত্তীসগঢ় রামের মামাবাড়ি কিংবা হায়দরাবাদ হবে ভাগ্যনগর—নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এ ভাবে যেখানেই মুখ খুলেছেন যোগী আদিত্যনাথ, সেখানেই ফল হয়েছে উল্টো। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার করা অধিকাংশ আসনে পরাস্ত হয়েছে বিজেপি। মন্দির, মেরুকরণ ও হিন্দুত্ব— তাদের তিন প্রধান অস্ত্রই আজ ব্যর্থ তিন রাজ্যে। ফলে আগামী ছয় মাসে বিজেপি কী কৌশল নেয়, তা-ই দেখার। বিজেপির একাংশ বলছে, এখন খয়রাতির পথে হাঁটাই উচিত মোদী সরকারের।
‘রাম মন্দির’ কি আজও ভোট টানে? লোকসভার আগে হিন্দি বলয়ে তিন রাজ্যের বিধানসভায় সেই পরীক্ষা সেরে নিতে চেয়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। সে কারণে বিধানসভার আগে দেশ জুড়ে মন্দির নির্মাণ কর্মসূচি নিয়ে উঠেপড়ে লাগে সঙ্ঘ পরিবার। কিন্তু রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগঢ়ে বিজেপির পরাজয় প্রশ্ন তুলেছে, একচেটিয়া হিন্দুত্বের রাজনীতি কি আদৌ প্রাসঙ্গিক এখনও?
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর মতে, ‘‘নোট বাতিল, জিএসটি এক দিকে অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। অন্য দিকে যুব সমাজ, কৃষকদের চাহিদা কী, তা ধরতেই পারেনি মোদী সরকার।’’ সব মিলিয়ে রাম মন্দির তাসে হিন্দি বলয়ে বাজিমাৎ করার যে পরিকল্পনা মোদী-অমিত শাহ নিয়েছিলেন, তা আদৌ লোকসভায় কার্যকর হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দলের মধ্যেই। রাম মন্দির নির্মাণের প্রশ্নে চাপের কৌশল নেওয়া সঙ্ঘ পরিবারও ‘চিন্তিত’।