উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য (সিইএম) দেবলাল গারলোসার বিরুদ্ধাচরণ করে পরিষদ ভাঙ্গার চক্রান্ত করার অভিযোগে নির্বাহী সদস্যের পদ হারালেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা পার্বত্য পরিষদের শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বে থাকা প্রকান্ত ওয়ারিশা ও আর এক নির্বাহী সদস্য ডেনিস টেরন। দেবলাল গারলোসার নেতৃত্বে পরিষদের কার্যনির্বাহী সমিতির বৈঠকে ওই দু’জনকে ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কার্যত গত বছর খানেকের মধ্যে পরিষদ সদস্যদের অবিরত দলবদল এখন প্রায় অভ্যাসে দাঁড়িয়েছে। কখনও কংগ্রেসে, কখনও বিজেপিতে, কখনও আবার অগপয় নাম লেখাচ্ছেন এই সদস্যরা। শুধু ক্ষমতার লোভেই কিছু সদস্য এক দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন। এ বার অগপ ছেড়ে আবার বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন মিহির গারলোসা ও থাইসোডাও থাওসেন। প্রকান্ত ওয়ারিশা ও ডেনিস টেরনকে পদ থেকে অপসারণ করার পর যদি ওই দুই পরিষদ সদস্য দল ছেড়ে দেয়, তাহলে গারলোসার নেতৃত্বাধীন পরিষদে বিজেপি সংখ্যালঘু হয়ে যেতে পারে ভেবেই বিজেপি নেতৃত্ব মিহির গারলোসা ও থাইসোডাও থাওসেনকে দলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অপসারিত দু’জনের জায়গায় নতুনদের নির্বাহী সদস্যের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলেও দলীয় সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।
এ দিকে, অসমের রাজ্যপাল পার্বত্য পরিষদের নির্বাহী সদস্য হিসেবে কুলেন্দ্র দাওলাগাপুকে নিয়োগ করেছেন। সিইএম দেবোলাল গারলোসা কিছু দিন আগে এই পদের জন্য কুলেন্দ্রবাবুকে নাম রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছিলেন। তাঁকে পরিষদে পর্যটন বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরই পাশাপাশি, ডিমা হাসাও জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি মহেন্দ্র কেম্প্রাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।