১৯৯০ সালে অযোধ্যায় দেশব্যাপী রামমন্দির আন্দোলনের কর্মসূচিতে তিনি ছিলেন অন্যতম উদ্যোক্তা। ৩০ বছর পর আজ বুধবার সেই নরেন্দ্র মোদীর হাতেই অযোধ্যায় সূচনা হল রামমন্দির নির্মাণের। মহা আড়ম্বড়ে অযোধ্যায় ৪০ কেজি ওজনের রুপোর ইট গেঁথে ভূমিপূজার মাধ্যমে রামমন্দির নির্মাণের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী। ‘নতুন ভারতে সূচনা হল নবযুগের’— বললেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। যোগী আদিত্যনাথ ঘোষণা করলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীই পারেন অসম্ভবের শান্তিপূর্ণ সমাধান করতে। আর প্রধানমন্ত্রীর মুখে শুধুই রামচরিত। ঐক্য-সংহতির বার্তা।
১৯৯০ সালে লালকৃষ্ণ আডবাণী সোমনাথ থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত রথযাত্রা শুরু করেছিলেন। পুরনো সেই সময়ের ছবিতে লৌহপুরুষ আডবাণীর পাশে ছিলেন তখনকার বিজেপি কার্যকর্তা নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদী। আজ বুধবার সেই রামমন্দিরের সূচনার দিন তিনিই প্রধান মুখ। সে দিনের নেতৃত্বে থাকা লালকৃষ্ণ আডবাণী অনুষ্ঠানের অংশীদার হয়েছেন। তবে ভিডিয়ো কনফারেন্সে। সেই উপস্থিতি ছাড়া গোটা ‘ভূমিপূজন’ অনুষ্ঠান আবর্তিত হয়েছে নরেন্দ্র মোদীকে ঘিরেই।
এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ অযোধ্যার আকাশে মোদীর হেলিকপ্টার চক্কর কাটা শুরু করতেই কার্যত পুরো অযোধ্যা উচ্ছ্বাসে-উল্লাসে ফেটে পড়ে। বেলা ১১টায় সাকেত কলেজের মাঠে তাঁর কপ্টার নামার পরে সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এ বার সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী যান রামগঢ়ীতে হনুমান মন্দিরে পুজো দিতে। মন্দিরের পক্ষ থেকে তাঁকে বস্ত্র ও রুপোর মুকুট উপহার দেওয়া হয়। এর পর রামলালার দর্শন সারেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে রাম জন্মভূমিতে। সেখান থেকে ঘড়ির কাঁটা মিলিয়ে শুভক্ষণ অনুযায়ী একে একে সমস্ত ধর্মীয় প্রথা-অনুষ্ঠান শেষে মূল মঞ্চে আসেন প্রধানমন্ত্রী।