কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসতেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীকে ভারতরত্ন সম্মান দেওয়ার জন্য উদ্যোগী হল বিজেপি। আগামী ১৫ অগস্ট, স্বাধীনতা দিবসে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে পারে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সূত্রের খবর, বাজপেয়ীয় পাশাপাশি এ বছর ভারতরত্ন পাওয়ার দৌড়ে নাম রয়েছে সুভাষচন্দ্র বসু, বহুজন সমাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কাঁসিরাম, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা মদনমোহন মালব্য ও হকির জাদুকর ধ্যানচাঁদেরও। এই নামগুলি নিয়ে সংশয় থাকলেও বাজপেয়ীর ভারতরত্ন পাওয়া নিয়ে সংশয় নেই কোনও মহলে।
ইউপিএ আমল থেকেই অটলকে ওই সম্মান দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে আসছে বিজেপি। লালকৃষ্ণ আডবাণী ২০০৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে চিঠি লিখে বাজপেয়ীকে ভারতরত্ন দেওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু লাভ হয়নি। প্রত্যাশিত ভাবে এ বার ক্ষমতায় এসেই দেরি না করে বাজপেয়ীকে ওই সম্মান দেওয়ার জন্য তৎপর হয়েছেন মোদী প্রশাসন।
সরকারি ভাবে তালিকা এখনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু এর মধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে পূর্ণমাত্রায়। এর আগে ১৯৯২ সালে কেন্দ্র সুভাষচন্দ্র বসুকে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু বিভিন্ন মহলের চাপে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিতে হয় সরকারকে। এ বারও ভারতরত্ন প্রাপকের তালিকায় তাঁর নাম থাকা উচিত কি না, সে প্রসঙ্গে পরিবারের সদস্য তথা লোকসভা সদস্য সুগত বসুর বক্তব্য, “সংকীর্ণ দলীয় রাজনীতি থেকে বরং নেতাজিকে দূরে রাখা হোক। কারণ তাঁর ভাবমূর্তি ভারতরত্ন থেকেও বড়। তা ছাড়া, কোন যুক্তিতে নেতাজির আগে রাজীব গাঁধী ভারতরত্ন পেয়ে যান! ইতিহাস সম্পর্কে যাঁর সামান্য জ্ঞান রয়েছে তিনি আমার সঙ্গে একমত হবেন।” এই বিষয়ে মোদী প্রশাসনকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি তিনি। সুগতবাবুর কথায়, “ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা থাকায় বাজপেয়ী কখনওই সুভাষচন্দ্রের নাম ওই তালিকায় রাখতেন না।” ফলে এখনই একটি বিষয় স্পষ্ট মোদী সরকার নেতাজির নাম ঘোষণা করলে ফের বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হবে। জেনেশুনে কেন্দ্র সেই ঝুঁকি নেয় কি না, সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy