এক দলিত ছাত্রের উপরে অত্যাচারের অভিযোগে বিহারের মুজফ্ফরপুরের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রাজীব রঞ্জনকে সাসপেন্ড করল মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। গ্রেফতার হয়েছে তার দুই সহপাঠীও।
সম্প্রতি সোশ্যাল সাইটে সহপাঠী দুই ছাত্রের হাতে এক দলিত ছাত্রের নিগ্রহের ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। তারপরেই জেলা প্রশাসন থেকে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, সকলেই নড়চড়ে বসে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ওই ভিডিওটি তোলা হয় বলে একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রটি দাবি করেছিল। ভিডিওতে দেখা যায়, স্কুলের পোশাক পরিহিত সহপাঠীরা ওই দলিত ছাত্রকে মারধর করছে। জেলাশাসকের নির্দেশে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অভিযোগ দায়ের করেন। ওই ছাত্রের দাদুও জেলার তফশিল জাতি ও উপজাতি থানায় এফআইআর দায়ের করে। দু’টি অভিযোগেরই তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযুক্ত দুই ছাত্রকে গ্রেফতার করে হোমে পাঠানো হয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী উপেন্দ্র কুশহ্ওয়াও তদন্তের নির্দেশ দেন। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠন তদন্ত কমিটি তৈরি করে। গত সোমবার সেই রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করা হল। কয়েক জন শিক্ষকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে ওই কমিটি।
অভিযোগকারী কেন্দ্রীয় তফশিল জাতি ও উপজাতি কমিশনের কাছে বিষয়টি জানিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘পড়াশোনায় ভাল হওয়ায় আমার উপরে অত্যাচার করত ওরা। জাত তুলে গালি দিত। স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানালেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’’ এর পরেই ওই ভিডিও তুলে ইন্টারনেটে দিয়ে দেন তিনি। উল্লেখ্য, অভিযুক্ত দুই ছাত্রের বাবা মুজফ্ফরপুর এলাকায় ‘ডন’ হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় থানায় তার বিরুদ্ধে খুন, অপহরণ-সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বাবার ভয়েই স্কুলের শিক্ষক থেকে অধ্যক্ষ, ছেলেদের কিছু বলতে পারত না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy