বছর চারেক আগে গ্রেটার হায়দরাবাদ পুরসভায় মাত্র ৫টি আসন দখল করেছিল বিজেপি। তবে মঙ্গলবারের পুরভোটে হায়দরাবাদের দখল নিতে আত্মবিশ্বাসী নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দল। ভোটের আগেই বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এ বার গেরুয়া-প্রতিনিধিকেই শহরের মেয়র হিসেবে দেখা যাবে। যদিও এই দাবি কতটা বাস্তবসম্মত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরেই। পুরভোটে বিজেপি-র এই আগ্রাসনের আসল লক্ষ্য যে ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে চন্দ্রশেখর রাও সরকারকে হঠিয়ে তেলঙ্গানা দখল— তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ।
আগামিকাল, ১ ডিসেম্বর গ্রেটার হায়দরাবাদ পুরসভার ১৫০টি ডিভিশনে নির্বাচন। মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস) এর সবক’টি আসনে লড়াই করছে। বিজেপি লড়বে ১৪৯টি আসনে। ১৪৬টি আসনে কংগ্রেসের প্রার্থীরা রয়েছেন। অন্য দিকে, আসাদউদ্দিন ওয়াইসির দল অল ইন্ডিয়া মজলিস-এ-ইত্তেহাদ উল-মুসলিমীন (এইএমআইএম) ৫১টি আসন দখলের লড়াইয়ে রয়েছে। পুরভোটে মোট প্রার্থী ১,২২২ জন।
পুরভোটে দলকে নেতৃত্ব দিতে বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হায়দরাবাদের দখল নিতে বিজেপি নেতৃত্ব যে কতটা আগ্রাসী, তা বোঝা গিয়েছে পুরভোটের প্রচারসভায় দলের হেভিওয়েট নেতাদের উপস্থিতিতেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, সর্বভারতীয় সাধারণ সভাপতি জে পি নড্ডা, সাংসদ তেজস্বী সূর্য, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস— এঁদের সকলকেই প্রচারসভায় দেখা গিয়েছে। দলীয় নেতারাও প্রকাশ্যে দাবি করেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে জয়ী হবে বিজেপি। সেই সঙ্গে গ্রেটার হায়দরাবাদের আগামী মেয়র হবেন বিজেপি প্রার্থীই। তবে সেই দাবি পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান রাজ্য বিজেপি-র একাংশ। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা বলেন, “নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটির বিজেপি যে ভাবে ত্রিপুরা বিধানসভায় একেবারে শূন্য থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিনিয়ে নিয়েছে, বাস্তবে এই পুরভোটে আমরা তেমনটা আশা করতে পারি না।”