অসমের অন্যান্য জেলার পাশাপাশি আগামী কাল হাইলাকান্দিতে বিজেপি জেলা সভাপতির নাম ঘোষণা করা হতে পারে। দলের রাজ্য নেতৃত্ব ভোট এড়িয়ে সর্বসন্মত ভাবে সভাপতি ঠিক করতে চান। দলীয় সূত্রে খবর, তাই জেলার বাইরে ওই নির্বাচন প্রক্রিয়া সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গত মাসে হাইলাকান্দি জেলা বিজেপির বুথ ও মণ্ডল কমিটির গঠন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তার পর জেলার সাতটি মণ্ডলের ১৪ জন প্রতিনিধি জেলা সভাপতি মনোনয়নের ক্ষেত্রে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। হাইলাকান্দিতে এসে সবার বক্তব্য শুনেছেন জেলায় দলের নির্বাচনী আধিকারিক-সহ অন্য নেতারা। হাইলাকান্দির দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের ডিআরও শশাঙ্কশেখর ধর, বরাক উপত্যকায় দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নিত্যভূষণ দে আগেই এই জেলার ৭টি মণ্ডলের প্রতিনিধির কাছ থেকে জেলা সভাপতির মনোনয়ন সম্পর্কে লিখিত মতামত গ্রহণ করেছেন।
দলের অন্দরমহলের খবর, হাইলাকান্দিতে দলের জেলা সভাপতির দৌড়ে পাঁচ জন নেতা রয়েছেন। পছন্দের প্রার্থীতালিকায় এগিয়ে রয়েছেন জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বিধানসভা নির্বাচনে হাইলাকান্দি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৈকত দত্ত চৌধুরী। দ্বিতীয় পছন্দ অসম প্রদেশ কিষাণ মোর্চার সম্পাদক জওহর নাথ। জেলা বিজেপি সূত্রে খবর, সভাপতি মনোনয়নের জন্য কয়েক জনের নামতালিকা রাজ্য কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জেলা সভাপতির নাম ঘোষণা করার কথা ছিল। কিন্তু নাম চূড়ান্ত না হওয়ায় রাজ্যের কোনও জেলার বিজেপি সভাপতির নাম ঘোষণা করা যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে জেলায় দলের কোনও নেতাই সভাপতির নাম নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। জেলার সাধারণ সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, আগামী কাল রাজ্য নেতৃত্ব ওই নাম ঘোষমা করতে পারেন। দলীয় সূত্রে খবর, জেলা সভাপতি পদের দাবিদাররা গুয়াহাটিতে বসে রয়েছেন। হাইলাকান্দি জেলা বিজেপি সভাপতি পদ নিয়ে দলে দু’টি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। দলের কয়েক জন নেতার বক্তব্য, এক শিবিরে রয়েছেন সৈকত দত্ত চৌধুরীর সমর্থকরা। অন্য দিকে রয়েছেন তাঁর বিরোধী নেতারা।
দলীয় সূত্রে খবর, হাইলাকান্দির জেলা সভাপতি পদের জন্য ৩ জন নেতার নাম নিয়ে চর্চা চলছে। তাঁরা হলেন— সৈকত দত্ত চৌধুরী , জওহর নাথ এবং সুব্রত নাথ। সুব্রতবাবুর নাম একেবারে শেষপর্বে আলোচনায় উঠে এসেছে। দলীয় নেতাদের একাংশের বক্তব্য, মনোনয়নের পুরো বিষয়টিই নির্ভর করছে সঙ্ঘ পরিবারের ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর। ওই তিন নেতার প্রত্যেকেই সঙ্ঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠ। তবে সুব্রতবাবু আরএসএস-এর প্রশিক্ষিত ক্যাডার। তাই তাঁর বাড়তি সুবিধা থাকতে পারে। সৈকতবাবুও অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের প্রাক্তন কর্মকর্তা।
দলীয় সূত্রে খবর মিলেছে, জেলার হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের কয়েক জন নেতা গত সপ্তাহে গুয়াহাটি ঘুরে এসেছেন। তবে তাঁরা কোন নেতার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন, তা জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy