ভোট হয়েছিল নোট বাতিলের বিতর্কের মধ্যেই। ফল প্রকাশ পেতেই দেখা গেল দেশের উত্তরের শহর চণ্ডীগড়ে বিজেপির ঝড়। তবে সেই হাওয়া পৌঁছয়নি মহারাষ্ট্রে। সেখানে পুরসভাগুলোর ভোটে বিজেপিকে টপকেছে কংগ্রেস। ফলে চণ্ডীগড়ে বিজেপি নেতাদের উচ্ছ্বাস অনেকটাই আটকে দিয়েছে মহারাষ্ট্র।
কয়েক মাসের মধ্যেই পঞ্জাব বিধানসভা ভোট। এর মধ্যেই চণ্ডীগড় পুরসভার ভোটে কংগ্রেসকে উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। ২৬টি ওয়ার্ডের ২০টিতেই জিতেছে বিজেপি, ১টিতে জোট শরিক শিরোমণি অকালি দল। কংগ্রেস পেয়েছে ৪টি আসন। ১টিতে জিতেছে নির্দল। চণ্ডীগড় পুরসভা বিজেপির হাতেই ছিল। আগের ভোটে ১৫টি আসন ছিল তাদের। এ বার মুছে গিয়েছে আপ, বিএসপি।
চণ্ডীগ়ড়ের ভোটে নোট বাতিল বিতর্ককে বিরাট ভাবে তুলে ধরেছিল কংগ্রেস। মোদীর সিদ্ধান্তের ফলে মানুষের ভোগান্তির কথা সামনে এসেছিল। কালো টাকার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর লড়াইয়ের কথা তুলে ধরে প্রচারে নামে বিজেপি। ফলের পরে উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদলের ব্যাখ্যা , ‘‘বিধানসভায় কারা জিততে চলেছে, তা এখনই বোঝা যাচ্ছে।’’ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের মন্তব্য, ‘‘নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পরে দেশের ৫টি রাজ্যে পুরসভার ভোট হয়েছিল। ফলাফলে প্রমাণ হয়েছে, মানুষ নরেন্দ্র মোদীর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন।’’
মহারাষ্ট্র অবশ্য অন্য কথা বলছে। সে রাজ্যে কিছু পুরসভার ভোটের (তৃতীয় পর্ব) ফল ঘোষণা হয়েছে। এতে বিজেপি ও শিবসেনাকে টপকেছে কংগ্রেস। ঔরঙ্গাবাদ, নান্দেড়, ভান্ডারা ও গঢ়ছিরৌলি জেলায় প্রায় ১৯টি মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিল ও ২টি নগর পঞ্চায়েতের ভোট হয়েছিল। এ গুলির মোট ৪০৯টি আসনের মধ্যে ১২২টি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। বিজেপি পেয়েছে ১১৬টি ওয়ার্ড। এনসিপি ৭৭টি ও শিবসেনা ৪৬টি ওয়ার্ডে জিতেছে। তবে কংগ্রেস ও বিজেপি দু’দলই ৮টি করে পুরসভার সভাপতির পদ পেয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy