Advertisement
০৫ মে ২০২৪
CBI arrests Manish Sisodia

দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ গ্রেফতার, আপ সরকারের আবগারি-নীতি নিয়ে কেন এত বিতর্ক?

২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর নতুন আবগারি নীতি নিয়ে আসে দিল্লির কেজরী সরকার। বদল আনা হয় মদ কেনাবেচার পদ্ধতিতে। সেই নীতিতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন উপরাজ্যপাল।

আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার মণীশ সিসোদিয়া। ফাইল ছবি।

আবগারি দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার মণীশ সিসোদিয়া। ফাইল ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২১:২১
Share: Save:

আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় শুরু থেকে শীর্ষে ছিলেন মণীশ সিসৌদিয়া। গত বছর অক্টোবরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ, তাঁর বাড়িতে তল্লাশির পর নভেম্বরে চার্জশিট জমা করে সিবিআই। শেষমেশ গ্রেফতার হলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ। এই মামলায় আগে গ্রেফতার হয়েছেন মণীশ-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা বিজয় নায়ার। কিন্তু দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি নিয়ে কেন এত বিতর্ক?

২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর নতুন আবগারি নীতি নিয়ে আসে দিল্লির অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সরকার। বদল আনা হয় মদ কেনাবেচার পদ্ধতিতে। নতুন আবগারি নীতিতে সরকারি মদের দোকানগুলি বন্ধ করে বেসরকারি মদের দোকানগুলিকে মদ বিক্রির অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়। কেজরীওয়াল সরকার চেয়েছিল, নতুন করে ৮৪৯টি মদের দোকান খোলা হবে। রাজধানীর ৩২টি অঞ্চলে এই মদের দোকান খোলার পরিকল্পনা ছিল।

উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশই আবগারি দফতরের দায়িত্বে। নতুন আবগারি নীতিতে মদের কালোবাজারি বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বাড়বে বলেও দাবি করেছিল সরকার। আগে দিল্লিতে মোট ৮৬৪টি মদের দোকান ছিল। ৪টি সরকারি সংস্থা ৪৭৫টি মদের দোকান চালাত। বাকি ৩৮৯টি বেসরকারি সংস্থার মালিকদের হাতে ছিল। এই নীতি কার্যকর করতে আবগারি লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে বেনিয়ম এমনকি আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগও ওঠে। যার জেরে নতুন আবগারি নীতি চালুর ঠিক ৮ মাস পর, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। দাবি করা হয়, নতুন নীতিতে পদ্ধতিগত কিছু সমস্যা রয়েছে। নতুন ৬৪৪টি মদের দোকান খোলা হলেও শেষমেশ ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে না পেরে লাইসেন্স ফিরিয়ে দিতে শুরু করেন। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সরকার পুরনো আবগারি নীততে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি তথা লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয়কুমার সাক্সেনা আপ সরকারের এই নতুন নীতিতে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন। তার পরেই অভিযোগের তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

আবগারি দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে অনেকেরই। এই সূত্রে বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতারও করেছে সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে তথা রাজ্যের দাপুটে নেত্রী কে কবিতাকেও। সিবিআইয়ের দাবি, মিডলম্যান ব্যবহার করে মদ ব্যবসায়ীরা নয়া আবগারি নীতির মাধ্যমে বাড়তি মুনাফা পকেটে ভরার ছক কষেছিলেন। তাতে প্রত্যক্ষ ভাবে মদত ছিল কেজরীওয়ালের ঘনিষ্ঠ তথা দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী সিসৌদিয়ার। আপ অবশ্য বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Manish Sisodia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE