ভূপিন্দর সিংহ হুডা। ফাইল চিত্র।
হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিংহ হুডার বাড়িতে তল্লাশি চালাল সিবিআই। শনিবার সকালে সিবিআইয়ের একটি দল হুডার বাড়িতে পৌঁছয়। তল্লাশি চালানো হয় দিল্লি, চণ্ডীগড়, রোহতক এবং গুরগাঁও-সহ বেশ কয়েক জন শীর্ষ আমলার বাড়ি ও অফিসেও।
হরিয়ানায় কংগ্রেস সরকার থাকাকালীন মানেসরে ৪০০ একর জমি বন্টনে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেসের তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী হুডার বিরুদ্ধে। অভিযোগ ছিল, অবৈধ ভাবে বেশ কয়েক জনকে এই জমি পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
রাজ্যে বিজেপি সরকার আসার পর এই জমি কেলেঙ্কারি নিয়ে বিচারপতি এস এন ধিংরার নেতৃত্বে একটি কমিশন গঠন করেন। দু’দিন আগেই এই নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘যদি কোনও অনিয়ম নাই থাকত, তা হলে এক বাক্যে রিপোর্ট শেষ হয়ে যেত। তাঁকে ১৮২ পাতা লিখতে হতো না। রিপোর্টে সমস্ত অনিয়মের কথা লেখা আছে। কোন কোন বেসরকারি ব্যক্তি এর সুবিধা পেয়েছেন, তা-ও বলা আছে।’’
গত বছরে ক্যাগ একটি রিপোর্ট পেশ করেছিল। তাতে বলা হয়েছিল বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থাকে অবৈধ ভাবে এই জমি পাইয়ে দিয়েছিল হরিয়ানা সরকার। বিজেপি এবং বিরোধীরা বার বারই অভিযোগ তুলে আসছিল সনিয়া গাঁধীর জামাই রবার্ট বঢরাকে বিশেষ ভাবে এই জমি পাইয়ে দিয়েছিল হুডা সরকার। যদিও ক্যাগের রিপোর্টে তাঁর সংস্থার নাম থাকলেও বঢরার নাম উল্লেখ করা হয়নি। এর আগেও শীর্ষ আইএএস অফিসার অশোক খেমকা মানেসরের জমি বন্টনকে অবৈধ বলে অভিযোগ তুলে তদন্তের দাবি তুলেছিলেন।
মনোহরলাল খাট্টারের সরকার আসার পরই কমিশন গঠন করে এই মামলার তদন্ত শুরু করতেই রে-রে করে ওঠে কংগ্রেস। তারা রাজনৈতিক চক্রান্তেরও অভিযোগ তোলে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। তবে এই জমি দুর্নীতিতে যে পরোক্ষে রবার্ট বঢরা জড়িয়ে আছেন তারও ইঙ্গিত দিয়েছে হরিয়ানা সরকার।
এ দিন হুডার সঙ্গে সংবাদমাধ্যম থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “দিল্লিতে রয়েছি। শুনেছি রোহতকের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছে। তদন্ত নিয়ে সব রকম সহযোগিতা করতে রাজি। এটা একটা রাজনৈতিক চক্রান্ত। আ কিছুই নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy