রানওয়ে থেকে উড়তে শুরু করার কিছু ক্ষণের মধ্যে লোকালয়ে ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। এ বার সেই ঘটনার বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এল।
গুজরাতে অহমদাবাদের সর্দার বল্লভভাই পটেল বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরুর পাঁচ মিনিট পরেই ভেঙে পড়েছে লন্ডনগামী বিমানটি। অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ডিজিসিএ) জানিয়েছে, বিমানটিতে ২৪২ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী এবং ১২ জন বিমানকর্মী। বিমানবন্দরের ভিতরের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ওড়ার কিছু ক্ষণ পরেই বিমানটি বাঁ দিকে হেলে পড়তে থাকে। একই সঙ্গে লেজের অংশটি নীচের দিকে নামতে নামতে হঠাৎ মাটিতে ভেঙে পড়ে। বিমানটি ভেঙে পড়েছে বিমানবন্দর চত্বরের মধ্যেই। ঠিক তার পাশেই মেঘানিনগর এলাকা।
স্যাটেলাইট ছবিতেও দেখা যাচ্ছে, বিমানটি ট্যাক্সিওয়ে থেকে রানওয়েতে আসে। উড়তে শুরু করার পর হঠাৎই বিমানটি বাঁ দিকে বাঁকতে শুরু করে। এর পরেই সেটির পিছনের দিকটি নীচের দিকে নেমে গিয়ে বিমানবন্দর চত্বরের ভিতরে ‘জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেন্টার’ নামক একটি বহুতলের কাছে একটি হস্টেলের উপর ভেঙে পড়ে।
প্রসঙ্গত, ট্যাক্সিওয়ে হল বিমানবন্দরের টার্মিনাল এবং রানওয়ের সংযোগরক্ষাকারী রাস্তা। অবতরণ করার পর কোনও বিমান রানওয়ে থেকে ট্যাক্সিওয়ে ধরেই টার্মিনালে পৌঁছোয়। সেখানেই যাত্রীরা বিমান থেকে নামেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী কে রামমোহন নায়ডু। তিনি জানিয়েছিলেন, বিমানের সকল আরোহীই নিহত দুর্ঘটনায়। ঠিক তার পরেই সংবাদ সংস্থা এএনআই অহমদাবাদের সিপিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, গোটা ঘটনায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন এক জনই। সিপি বলেন, ‘‘সব মিলিয়ে কত জনের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। যে হেতু লোকালয়ে বিমান ভেঙে পড়েছে, তাই মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’’
রয়টার্সকে অহমদাবাদ পুলিশ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, শহরের একটি হাসপাতালে অন্তত ১০০টি দেহ ইতিমধ্যেই আনা হয়েছে।
বিমানটি যে বহুতলে ভেঙে পড়েছে, সেটি ছিল বিজে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক-পড়ুয়াদের হস্টেল। স্থানীয়দের দাবি, ওই হস্টেলে থাকেন ৫০ জন চিকিৎসক। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমান ভেঙে পড়ায় ওই হস্টেলের পাঁচ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।