পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং গিলগিট-বাল্টিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের জন্য ২০০০ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের সামনে প্রস্তাব পেশ করতে চলেছে বলে নর্থ ব্লক সূত্রের খবর। মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলেই সহায়তা প্যাকেজের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করে দেওয়া হবে।
জম্মু-কাশ্মীরের সরকারকেই শরণার্থী পরিবার চিহ্নিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মেহবুবা মুফতির সরকার ইতিমধ্যেই ৩৬ হাজার ৩৪৮টি পরিবারকে শরণার্থী পরিবার হিসেবে চিহ্নিতও করেছে বলে খবর। প্রতিটি পরিবারকে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পদস্থ কর্তারা জানাচ্ছেন, এক মাসের মধ্যেই মন্ত্রিসভা এই ২০০০ কোটি টাকার প্যাকেজে অনুমোদন দিয়ে দেবে বলে আশা করা যাচ্ছে। মন্ত্রিসভার সিলমোহর পড়লেই শরণার্থী পরিবারগুলির হাতে প্যাকেজ তুলে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভালবাসা দিয়ে কাশ্মীরকে জয় করতে হবে, মোদীর ‘মন কি বাত’
পাকিস্তান থেকে আসা বহু শরণার্থীর বাসই জম্মু-কাশ্মীরে। ১৯৪৭ সালে তো বটেই, পরে ১৯৬৫-র যুদ্ধের সময় এবং তার পরে ১৯৭১-এর যুদ্ধের সময়ও বহু মানুষকে উচ্ছেদ করেছিল পাকিস্তান। পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং গিলগিট-বাল্টিস্তান থেকে যাঁরা উচ্ছেদ হয়েছিলেন, তাঁদের অধিকাংশই জম্মু-কাশ্মীরে আশ্রয় নেন। তবে সে রাজ্যের সংবিধান অনুযায়ী তাঁরা জম্মু-কাশ্মীরে ভোটাধিকার পাননি। লোকসভা নির্বাচনে এই শরণার্থীরা ভোট দিতে পারেন। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁদের ভোট দেওয়ার অধিকার নেই। নরেন্দ্র মোদীর সরকার দিল্লিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই শরণার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। আধাসামরিক বাহিনীর নিয়োগে তাঁদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া, রাজ্য সরকারি চাকরিতেও তাঁদেরকে নিয়োগের সমান সুযোগ দেওয়া, শরণার্থী পরিবারে পড়ুয়াদের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেওয়া— এমন বেশ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তার পাশাপাশি কেন্দ্র এ বার আর্থিক সহায়তাও দিতে চলেছে শরণার্থীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy