গলা ছেড়ে গান গাইছেন। কখনও দু’হাতে বালি নিয়ে খেলছেন। ব্যাপারটা কী? খোঁজ নিতে গিয়ে চমকে উঠলেন প্রতিবেশীরা। দেখলেন, প্রৌঢ়ার রক্তাক্ত দেহ পড়ে মাটিতে। পাশে কুড়ুল হাতে নিয়ে গান গাইছেন তাঁর ছেলে! বাড়ির সামনে শয়ে শয়ে লোক জমে যায়। কিন্তু যুবককে দেখে কেউ বাড়িতে ঢোকার সাহস পাননি। ওই ভাবে কয়েক ঘণ্টা কেটে যায়। শেষমেশ পুলিশ গিয়ে গ্রেফতার করেছে অভিযুক্তকে। উদ্ধার করা হয় দেহ। ঘটনাস্থল ছত্তীসগঢ়ের জশপুর জেলা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোর ৫টা নাগাদ জিৎরাম যাদব তাঁর মা গুলাবাঈকে অতর্কিত আক্রমণ করেন। কুড়ুল নিয়ে মায়ের উপরে চড়াও হন তিনি। যত ক্ষণ পর্যন্ত প্রৌঢ়া বেঁচেছিলেন, তত ক্ষণ তাঁর সারা শরীরে কুড়ুলের কোপ মেরেছেন ছেলে!
রক্তে ভেসে যায় মেঝে। তত ক্ষণে মারা গিয়েছেন প্রৌঢ়া। ঘরের কোণায় বালি জড়ো করা ছিল। সেগুলো মুঠোয় নিয়ে খেলছিলেন জিৎ। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, মাকে মেরে গলা ছেড়ে গান গাইছিলেন যুবক। কী হয়েছে দেখার জন্য বাড়ির সামনে কয়েক জন গিয়ে উঁকি দেন, কিন্তু ভিতরে ঢুকতে কেউ সাহস পাননি। কারণ, লোকজন দেখে কুড়ুল হাতে নিয়ে পায়চারি করছিলেন যুবক। আরও লোকজন জড়ো হন। গুঞ্জন শুরু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তার পর ঘণ্টা চারেক কেটে যায়। অনেক বুঝিয়ে-শুনিয়ে শেষমেশ তাঁকে ধরে থানায় নিয়ে যান তদন্তকারীরা।
পরিবার সূত্রে খবর, অনেক কিছু দিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন জিৎ। গত দু’বছরে তাঁর সমস্যা আরও বাড়ে। কিন্তু তিনি যে এমন কাজ করে বসবেন কেউ ভাবতে পারেননি।
পুলিশ জানিয়েছে, খুনের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রৌঢ়ার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তাঁর ছেলেকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের শারীরিক এবং মানসিক পরীক্ষা করা হবে।