ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের জেরে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে টানাপড়েন অব্যাহত। সেই আবহে নয়াদিল্লি আসছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। দু’দিনের সফরে সোমবারই ভারতে আসার কথা তাঁর। সূত্রের খবর, চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের বৈঠক হতে পারে।
গলওয়ান সংঘাতের পর উত্তেজনা প্রশমিত করে সীমান্তে আরও কিছু আস্থাবর্ধক পদক্ষেপ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত এবং চিন। ডোভাল-ওয়াং বৈঠকে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। সীমান্তকে স্থায়ী ভাবে শান্তিপূর্ণ করা যায়, তা নিয়ে দুই দেশের প্রতিনিধির মধ্যে কথা হতে পারে বলে সূত্রের দাবি।
সাউথ ব্লকের একটি সূত্রে দাবি, চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ভারত বলবে, ২০২০ সালের পূর্ব লাদাখে সংঘাতের সময় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন অঞ্চলে যে লাল ফৌজ জমায়েত করা হয়েছিল, তা যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে নিতে। এখনও বাড়তি ১ লক্ষ সেনা মোতায়েন রয়েছে বলে খবর, যা সাউথ ব্লকের মাথাব্যথার কারণ। ভারতের এই অনুরোধে চিন কতটা সাড়া দেয়, তার উপর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি কিছুটা হলেও নির্ভর করছে বলে কূটনৈতিক সূত্রের খবর।
চলতি মাসের শেষে এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে চিন যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেই বৈঠকের ভিত্তি ওয়াং ই এবং ডোভালের বৈঠকে তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ পাস, হিমাচল প্রদেশের শিপকি লা এবং সিকিমের নাথু লা— এই জায়গাগুলি দিয়ে ফের বাণিজ্যের কথা ভাবা হচ্ছে। সীমান্ত বাণিজ্য-আলোচনা নিয়ে ইতিবাচক চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রশাসনও। বৃহস্পতিবার চিনের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, সীমান্ত বাণিজ্য উভয় দেশেরই সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।