Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্র দেবে সিএজি, আশায় কংগ্রেস

টু-জি স্পেকট্রাম, কয়লা খনি বিলিতে সিএজি-র হিসেবে ক্ষতির অঙ্কই ছিল মনমোহন-সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রধান অস্ত্র।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:৪১
Share: Save:

পাঁচ বছর আগে অরুণ জেটলি রোজই সিএজি রিপোর্ট দেখিয়ে শূন্য গুনতেন। টু-জি স্পেকট্রাম, কয়লা খনি বিলিতে সিএজি-র হিসেবে ক্ষতির অঙ্কই ছিল মনমোহন-সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রধান অস্ত্র।

২০১৯-এর ভোটের আগে রাফাল চুক্তি নিয়ে সেই সিএজি-র রিপোর্টই নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রধান অস্ত্র হয়ে উঠবে বলে কংগ্রেস নেতাদের আশা। বস্তুত, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আজ নিজেই লোকসভায় জানিয়েছেন, রাফাল চুক্তি খতিয়ে দেখছে সিএজি।

রাফাল চুক্তির তদন্তের দাবিতে ইতিমধ্যেই সিএজি রাজীব মহর্ষির কাছে দু’বার দরবার করেছে কংগ্রেস। নির্মলা আজ বলেন, ‘‘বায়ুসেনার জন্য সমরাস্ত্র, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার সিদ্ধান্তগুলি খতিয়ে দেখছে সিএজি। তার মধ্যে রাফাল-চুক্তিও রয়েছে।’’

লোকসভা ভোটের আগেই সিএজি-র রিপোর্ট প্রকাশের সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছেন নির্মলা। তিনি বলেন, ‘‘হিসেব পরীক্ষার খসড়া-রিপোর্ট ডিসেম্বর মাসেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে চলে এসেছে। তার জবাব তৈরির কাজ চলছে।’’

নির্মলাকে অবশ্য আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে। মনে হয়েছে তিনি নিশ্চিন্ত যে, সিএজি-র রিপোর্টে রাফাল চুক্তি নিয়ে কোনও প্রশ্ন উঠবে না। কিন্তু কংগ্রেসের দাবি, রাফাল রিপোর্টে তাঁদের জন্য আক্রমণের রসদ থাকবেই। কারণ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ফাইলেই রয়েছে, মোদীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটিতে বেশি দামে রাফাল কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ৩৬টি রাফাল কেনার চুক্তির সর্বোচ্চ মূল্য ৫২০ কোটি ইউরো থেকে বেড়ে হয়ে যায় ৮২০ কোটি ইউরো। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আমলা সুধাংশু মোহান্তি সেই সময় এ নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। ‘ফাঁস হয়ে যাওয়া’ সেই ফাইল ইতিমধ্যেই সিএজি-র হাতে তুলে দিয়ে এসেছে কংগ্রেস।

সিএজি নিয়ে কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে ভুল পথে চালিত করেছে বলেও কংগ্রেসের অভিযোগ। আদালত সাম্প্রতিক রায়ে লিখেছিল, রাফালের দামের সবিস্তার তথ্য সিএজি-কে জানানো হয়েছে। সিএজি-র রিপোর্ট খতিয়ে দেখেছে সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি। কিন্তু ওই কমিটির চেয়ারম্যান মল্লিকার্জুন খড়্গে জানান, কোনও রিপোর্টই আসেনি পিএসি-তে। সরকার তখন বলে, তারা পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা করেছিল। অ্যাটর্নি জেনারেলের নোট বুঝতে ভুল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তার সংশোধনও চাওয়া হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য এখনও কোনও ভ্রম সংশোধন জারি করেনি। সরকারও উদ্যোগী হয়নি। তবে আজ লোকপাল মামলায় অ্যাটর্নি জেনারেল একটি নোট দিতে গেলে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আর নোট নয়। হলফনামা জমা করুন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE