Advertisement
E-Paper

প্রবীণদের জন্য নিঃশুল্কে গাঁধীবাগ খোলার দাবি

শহরের প্রবীণদের প্রাতর্ভ্রমণের জন্য গাঁধীবাগ খুলে দেওয়ার দাবি তুলল কংগ্রেস। পুরপ্রধান নীহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুরের তাতে আপত্তি নেই। তবে তিনি জানিয়েছেন, এখনই কংগ্রেসের দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। গাঁধীবাগ নিয়ে নস্টালজিয়া রয়েছে শিলচরের প্রবীণ নাগরিকদের অনেকেরই। তাঁদের স্মৃতি সাপনালা ও এর পাশের মাঠ ঘিরে। যা পরে গাঁধীবাগ নামে পরিচিতি লাভ করে। অনেকের আক্ষেপ, আগে যখন-তখন মাঠে ঢুকতেন। যে যাঁর মত সময় কাটাতেন। এখন টিকিট চালু হওয়ায় তাঁরা সে দিকে যান না।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৫ ০৪:০৯

শহরের প্রবীণদের প্রাতর্ভ্রমণের জন্য গাঁধীবাগ খুলে দেওয়ার দাবি তুলল কংগ্রেস। পুরপ্রধান নীহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুরের তাতে আপত্তি নেই। তবে তিনি জানিয়েছেন, এখনই কংগ্রেসের দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

গাঁধীবাগ নিয়ে নস্টালজিয়া রয়েছে শিলচরের প্রবীণ নাগরিকদের অনেকেরই। তাঁদের স্মৃতি সাপনালা ও এর পাশের মাঠ ঘিরে। যা পরে গাঁধীবাগ নামে পরিচিতি লাভ করে। অনেকের আক্ষেপ, আগে যখন-তখন মাঠে ঢুকতেন। যে যাঁর মত সময় কাটাতেন। এখন টিকিট চালু হওয়ায় তাঁরা সে দিকে যান না।

কংগ্রেস নেতা তথা পুরসভার প্রাক্তন সভাপতি তমালকান্তি বণিক বলেন, ‘‘প্রবীণ নাগরিকদের জন্য গাঁধীবাগ সকালের দিকে নিঃশুল্কে খুলে দেওয়া হলে, তাঁরা সেখানে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। এতে তাঁদের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।’’ কংগ্রেসের পুর পরিষদীয় দলের বক্তব্য, শহরে সবুজের ছোঁয়া পাওয়া বড় কঠিন। ধুলোয় প্রবীণদের সমস্যা বেড়ে যায়। দ্রুতগতির যানবাহন ও ভাঙাচোরা রাস্তায় হাঁটা ঝুঁকিবহুল। তাই বিকেলে টিকিট ব্যবস্থা চালু রেখে সকালে দু’ঘণ্টার জন্য গাঁধীবাগ নিঃশুল্ক খুলে দেওয়া হোক।

পুরপ্রধান নীহারবাবু এতে মৃদু আপত্তি জানান। তাঁর সুরে সুর মেলান বিজেপির অন্যান্য নির্বাচিত সদস্যরা। তাঁদের যুক্তি, শুধু প্রবীণদের জন্য গাঁধীবাগ খুলে রাখা মুশকিল। খুললে সেই সময়ে সবাইকেই নিঃশুল্ক প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে কেউ গাছে হাত দেবেন, কেউ ফুল তুলে নেবেন। এতে সৌন্দর্য নষ্ট হবে। কংগ্রেসিদের চাপে তাঁদের সে যুক্তি অবশ্য টেকেনি। ৭৩ বছর বয়সী সভাপতি পরে স্বীকার করেন, প্রবীণদের এমন সুযোগ দেওয়াই বাঞ্ছনীয়। তবে পার্কের সৌন্দর্যের কথা ভেবে দু’জন লোক নিয়োগ করতে হবে। তিনি কংগ্রেস সদস্যদের আশ্বস্ত করেন, দু’জন কর্মী ও তাঁদের বেতনের ব্যবস্থা করেই গাঁধীবাগ প্রবীণদের প্রাতর্ভ্রমণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

পুরসভার বিরোধী দলনেতা অলক কর পরে বলেন, ‘‘কথায় নীহারবাবুর আপত্তি স্পষ্ট ছিল। প্রবীণরা স্টেডিয়ামে যান বলে তিনি প্রথমে এড়িয়ে যেতে চান। স্টেডিয়াম প্রবীণদের প্রাতর্ভ্রমণের জন্য উপযুক্ত নয়। আমরা বারবার এই দাবি তুলব।’’

গাঁধীবাগ নিয়ে তিনিও যে কত কী ভাবছেন, সে কথা উল্লেখ করেন নীহারবাবু। তাঁর পরিকল্পনা— এখন যে ভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে পুরো গাঁধীবাগের দেওয়াল ঢেকে রয়েছে, তা খুলে নেওয়া হবে। ওই প্রতিষ্ঠানকে কী কী শর্তে বিজ্ঞাপন লাগাতে দেওয়া হয়েছিল, তা তিনি খতিয়ে দেখছেন। পরে তাদের বিজ্ঞাপন খুলে নিতে বলবেন। নতুন করে কাউকে বিজ্ঞাপন লাগাতে দেওয়া হবে না। এতে পার্কের সৌন্দর্য নষ্ট হয়। তিনি বলেন, ‘‘প্রবীণদের আবেগের সঙ্গে জড়ানো সাপনালার বিকাশ নিয়েও ভাবছি। পরিষ্কার রেখে কী ভাবে তার সৌন্দর্য বাড়ানো যায়, তা নিয়েও কয়েক জনের সঙ্গে কথা চলছে।’’

congress gandhibagh senior citizen silchar assam
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy