ইউপিএসসি-র চাকরির পরীক্ষা, ডাক্তারি-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির পরীক্ষার জন্য পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা কোচিং সেন্টারগুলিতে কেন কোনও সরকারি নিয়ন্ত্রণ নেই, তা নিয়ে কংগ্রেস প্রশ্ন তুলল। কংগ্রেসের দাবি, এই কোচিং সেন্টারগুলির চড়া ফি এবং পড়ুয়াদের আত্মহত্যার হার দেখে সরকারের উচিত এদের উপরে লাগাম পরানো।
কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া কুমার আজ দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ তুলেছেন, গত কয়েক দিনে একাধিক কোচিং সেন্টার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই কোচিং সেন্টারগুলি ইউপিএসসি-র পরীক্ষা, ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তির পরীক্ষার জন্য পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণ দিত। এখন অভিভাবকদের থেকে কোটি কোটি টাকা ফি সংগ্রহ করার পরে আচমকা সংস্থাগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সরকারের উচিত এই বিষয়ে দায়িত্ব নেওয়া। সরকারি ব্যবস্থা দুর্বল বলেই এই রকম কোচিং সেন্টারের বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। গোটা দেশে শাখা রয়েছে, এমন একটি কোচিং সেন্টার মামলার মুখে পড়েছে। পুলিশ সংস্থার ১২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১১ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে।
কানহাইয়ার যুক্তি, অভিভাবকেরা মোটা টাকা খরচ করে পড়ুয়াদের কোচিং সেন্টারে ভর্তি করাচ্ছেন। ছাত্রছাত্রীদের উপরে চাপ তৈরি হচ্ছে। তারই ফল হল, প্রতিদিন গড়ে ২৮ জন পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। কৃষকদের আত্মহত্যার মতো পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় সরকারকে পদক্ষেপ করতে হবে। কারণ এটা ব্যবস্থাগত সমস্যা। বেকারত্বের সমস্যাও এর জন্য দায়ী।
বেকারত্বের সমস্যার জন্যই দেশের তরুণদের গাজ়ার যুদ্ধের মধ্যেও সেখানে নির্মাণকর্মী হিসেবে কাজ করতে যেতে হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যেও ভারতীয় তরুণদের সেনাবাহিনীর ঠিকা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে যেতে হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)