কিসের উৎসব? এমন বিপুল সংবর্ধনাই বা কোন ‘চাঁদ পেড়ে আনার’ কারণে? মার্কিন সফর শেষে নরেন্দ্র মোদী দেশে ফেরার পরে সেখানে তাঁর সাফল্য তুলে ধরতে বিজেপির নাগাড়ে প্রচারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল কংগ্রেস।
কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা জানাচ্ছেন, রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসবাদ এবং জম্মু-কাশ্মীর সম্পর্কে যে অবস্থান নিয়েছেন তা সমর্থন করছেন তাঁরা। কিন্তু মোদী দেশে ফেরার পরে বিজেপি যে ‘সাফল্য’ নিয়ে প্রচার চালাচ্ছে, সেই সাফল্য নিয়ে অন্ধকারে কংগ্রেস। কারণ, রাষ্ট্রপুঞ্জে বক্তৃতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক, এই সফরে মোদী যা করেছেন তা বরাবরের রুটিন কাজ। ‘হাউডি মোদী’র মঞ্চে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হাজির করে আখেরে কতটা লাভ হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আনন্দ।
আনন্দের দাবি, মার্কিন মুলুকে ভারতীয় পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে যে বিশেষ সুবিধা (জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স বা জিএসপি) সম্প্রতি ওয়াশিংটন কেড়ে নিয়েছে, ট্রাম্প-মোদী বৈঠকের পরে তার কিছুটা অন্তত ফিরিয়ে দেওয়ার আশা ছিল। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তেমন ঘটেনি। ভারতীয়দের জন্য এইচ১-বি ভিসার সংখ্যা না-কমানো কিংবা তার ফি বৃদ্ধি আটকানোর মতো কোনও সুখবরও আনতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। যা হতাশ করেছে এ দেশের রফতানিকারী এবং শিল্প মহলের প্রতিনিধিদের।
অথচ দেশে ফেরার পরে মোদী বিমানবন্দর থেকে বেরোতেই রাস্তার দু’ধারে লম্বা লাইন করে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি সমর্থকেরা। তাঁদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজেপিও নাগাড়ে প্রচার চালিয়ে বোঝাতে চাইছে, আমেরিকা সফরে দেশের জন্য দারুণ কিছু কাজ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই বিষয়টি নিয়েই কংগ্রেস প্রশ্ন তুলছে বলে তাঁর দাবি।
আনন্দের পরামর্শ, এই প্রচারে না-মজে বরং দেশের আসল সমস্যা সমাধানে মন দিন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সরকার। বেহাল অর্থনীতি, বেকারত্ব থেকে শুরু করে চাহিদার খরা— সাধারণ মানুষের সমস্যায় নজর দিক কেন্দ্রীয় সরকার।