২০১৪ সালের অক্টোবরে ডিআরআই অভিযোগ করে কয়লা আমদানিতে বড় দুর্নীতি হয়েছে। ২০১৬ সালের ১৬ মার্চ ডিআরআই জানায়, ৪০টি সংস্থা সন্দেহের তালিকায়। সব মিলিয়ে ২৯ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠনের দাবি নিয়ে প্রশান্ত ভূষণেরা দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। চলতি বছরের ৯ মার্চ আদালতকে ডিআরআই জানায়, সিট দরকার নেই। চার সংস্থাকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে আদানি-অম্বানীর সংস্থা আছে।
জয়রামের দাবি, বিদেশ থেকে ৭০ শতাংশ কয়লা আমদানি করে আদানির সংস্থা। সে সংস্থা সিঙ্গাপুর আদালতে আবেদন করে, তদন্তের জন্য ভারত সরকার যে নথি চাইছে, তা যাতে না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরই মধ্যে অর্থসচিব হাসমুখ আঢিয়া সেই সময় স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারপার্সন অরুন্ধতী ভট্টাচার্যকে চিঠি লেখেন, যাতে তাঁদের সিঙ্গাপুর শাখায় থাকা তথ্য দেওয়া হয় ভারত সরকারকে। জয়রামের অভিযোগ, সিঙ্গাপুরের আইন দেখিয়ে সেই তথ্যও দেওয়া হয়নি। ক’দিন আগে সিঙ্গাপুরের আদালত আদানির আবেদন খারিজ করে দেয়। সপ্তাহখানেক আগে আদানির সংস্থা ফের বম্বে হাইকোর্টে নথি না দেওয়ার আবেদন করে।
কংগ্রেস জানিয়েছে, নরেন্দ্র মোদী গত তিন বছরে তিন বার সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীও ভারতে এসেছেন। কিন্তু সেই নথি বার করতে পারেননি মোদী।
ফলে তদন্ত থমকে রয়েছে। বিজেপির দাবি, কংগ্রেসের দাবি ধীরে ধীরে হাস্যকর পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। যে দুর্নীতির অভিযোগ তারা করছে, সেটি ২০০৫ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে। অর্থাৎ গোটাটাই ইউপিএ জমানার দুর্নীতির অভিযোগ।
বিজেপি সরকার সেই অভিযোগ সংক্রান্ত নথি বার করায় বাধা দেবে কেন? জয়রামের পাল্টা অভিযোগ, দুর্নীতি যে সময়েরই হোক, নিজের পছন্দের শিল্পপতিদের আড়াল করছেন প্রধানমন্ত্রী।