প্রধানমন্ত্রীর দফতর বা পিএমও ‘সন্দিগ্ধ’ লোকজন নিয়ন্ত্রণ করছে বলে এ বার কংগ্রেস অভিযোগ তুলল। এর আগে সংসদে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা প্রধানমন্ত্রীর দফতরে কী চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আজ কংগ্রেসের জনসংযোগ দফতরের চেয়ারম্যান পবন খেরা প্রশ্ন তুলেছেন, উত্তরপ্রদেশের অবসরপ্রাপ্ত আইএএস নবনীত সেহগলের বিরুদ্ধে বিপুল দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে প্রসার ভারতীর চেয়ারম্যান নিয়োগ করার পিছনে কি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির ভূমিকা ছিল?
সম্প্রতি প্রসার ভারতীর চেয়ারম্যানের পদ থেকে আচমকাই নবনীত সেহগল ইস্তফা দিয়েছেন মেয়াদ ফুরোনোর আগেই। উত্তরপ্রদেশের এই প্রভাবশালী অবসরপ্রাপ্ত আইএএস-কে নিয়ে আজ পবন খেরা অভিযোগ তুলেছেন, আয়কর দফতরের তৈরি নথি অনুযায়ী, ১১২ কোটি টাকা ঘুষ কেলেঙ্কারির প্রধান মাথা ছিলেন নবনীত। আয়কর দফতর এই গোপন রিপোর্ট উত্তরপ্রদেশের লোকায়ুক্তের কাছে পাঠিয়েছিল। কিন্তু তা কোনও দিনও পৌঁছয়নি। এর পরেও তাঁকে দিল্লিতে প্রসার ভারতীর চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। এখন শোনা যাচ্ছে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসতে চলেছেন। যে প্রভাবশালী ব্যক্তির পদে তিনি বসবেন বলে শোনা যাচ্ছে, তাঁর বিরুদ্ধেও জুয়ার অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
খেরা বলেন, ‘‘এক জন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত আধিকারিকের বদলে আর এক অভিযুক্তকে বসিয়ে রাজনৈতিক মিউজিক্যাল চেয়ার চলছে। প্রশ্ন হল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মৌন কেন?’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)