অসমের ছ’টি জনজাতিকে তফসিলভুক্ত করার কেন্দ্রীয় আশ্বাসে খুব একটা ভরসা নেই সংশ্লিষ্ট জনজাতি নেতাদের। তাঁদের বক্তব্য, না আঁচালে বিশ্বাস নেই। তাঁরা মনে করছেন, নাগরিকত্ব বিলকে ঘিরে উত্তাল অসমে রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার তাগিদেই কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্ব এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
গত কাল লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি পেশ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ঘোষণা করেন, অসমের মটক, মরাণ, সুতীয়া, চা-জনজাতি, কোচ-রাজবংশী, এবং তাই-আহোমদের দীর্ঘদিনের দাবি মেনে নিচ্ছে মন্ত্রিসভা। বিজেপির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মেনে তাঁদের তফসিলভুক্ত জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ন্যাশনাল কমিশন ফর সিডিউল্ড ট্রাইবসের সবুজ সংকেতও মিলেছে। অবিলম্বে সেই বিলও লোকসভায় পেশ করা হবে।
রাজ্যের মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার মতে, ৬ টি গোষ্ঠীর তফসিলভুক্তি ও অসম চুক্তি রূপায়ণের মাধ্যমেই রাজ্যের ভূমিপুত্রদের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। কিন্তু জনজাতি নেতারা এখনই কেন্দ্রের উপরে ভরসা রাখছেন না। অসম চা মজদুর সঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক রূপেশ গোয়ালা বলেন, ‘‘মন্ত্রিসভার অনুমোদন চূড়ান্ত কথা নয়। বিজেপি ইচ্ছাকৃত ভাবে এমন সময়ে ঘোষণাটি করেছে যাতে এ নিয়ে আর আলোচনার সময় না থাকে। লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিল উত্থাপন ও গ্রহণ করা, আইন প্রণয়ন না করা পর্যন্ত আমরা কোনও প্রতিশ্রুতিকে বিশ্বাস করি না।’’
মরাণ জনগোষ্ঠীর নেতা অরুণজ্যোতি মরাণের কথায়, ‘‘আইন প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত সরকারের কোনও প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করি না।’’ তাঁর বক্তব্য, অসমে বহু হিন্দুই বিভিন্ন ভাবে অত্যাচারিত। এই ৬টি জনজাতিও হিন্দু। বাইরের হিন্দুদের মঙ্গল করার আগে ঘরের হিন্দুদের মঙ্গল করুক বিজেপি। কোচ-রাজবংশী নেতা বিশ্বজিৎ রায় বলেন, ‘‘মন্ত্রিসভার মত হলেই হবে না। লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিল এনে আইন প্রণয়ন করুক আগে।’’ তাঁর মতে, এমন রাজনৈতিক চাল আগেও দেখা গিয়েছে। ১৯৯৬ সাল থেকে কংগ্রেস সরকার অর্ডিন্যান্স এনেও বিল পাশ করেনি। সদিচ্ছা থাকলে রাষ্ট্রপতির অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে উপজাতি মর্যাদা দেওয়া হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy