Advertisement
E-Paper

২৯ লক্ষ আক্রান্ত ভারতে, সুস্থও পেরোল ২১ লক্ষ

কেন্দ্র জানিয়েছে, সারা দেশে কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন সাড়ে ২১ লক্ষেরও বেশি মানুষ।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২০ ০৪:৫৭
দেশের মোট আক্রান্ত ২৯ লক্ষ পেরিয়েছে। গ্রাফিক-শৌভিক দেবনাথ।

দেশের মোট আক্রান্ত ২৯ লক্ষ পেরিয়েছে। গ্রাফিক-শৌভিক দেবনাথ।

দেশে করোনায় মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ২৯ লক্ষ পেরোল। নতুন আক্রান্তের সংখ্যা অবশ্য গত কালের চেয়ে কয়েকশো কমেছে। কাল এই সংখ্যাটা ছিল ৭০ হাজারের কাছাকাছি। আজ তা ৬৮,৮৯৮। তবে একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, দৈনিক সুস্থের সংখ্যায় নতুন রেকর্ড (৬২,২৮২) হয়েছে আজ।

কেন্দ্র জানিয়েছে, সারা দেশে কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন সাড়ে ২১ লক্ষেরও বেশি মানুষ। দেশে এখন মোট অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা এর এক-তৃতীয়াংশেরও কম। মোট আক্রান্ত ও মোট সুস্থের সংখ্যার ব্যবধান ক্রমশ কমছে। সুস্থতার হার বাড়তে বাড়তে ৭৪.৩০ শতাংশে পৌঁছেছে। এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা মোট আক্রান্তের মাত্র ২৩.৮২ শতাংশ।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

কেন্দ্র জানিয়েছে, ৩৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সুস্থতার হার ৫০ শতাংশের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৮৩ জনের মৃত্যু হলেও সার্বিক ভাবে মৃত্যুহার নেমে এসেছে ১.৮৯ শতাংশে। তবে আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় ভারতে মৃতের মোট সংখ্যা আজ রাতে ৫৫ হাজার পেরিয়েছে।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

দূরত্ব-বিধি উড়িয়ে ভিড় বাজারে। শুক্রবার মুম্বইয়ের দাদরে। ছবি: পিটিআই।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, টানা গত ১৭ দিন ধরে রোজ সব চেয়ে বেশি রোগী বেড়েছে ভারতেই। মোট সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ লক্ষ, ভারতে তা ২৯ লক্ষ। প্রতি দু’দিনে এক লক্ষের বেশি রোগী বাড়ছে ভারতে। এই হার বজায় থাকলে সেপ্টেম্বরের গোড়ার দিকেই ভারত ব্রাজিলকে টপকে যেতে পারে বলে অনেকের আশঙ্কা।

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

কর্নাটকে গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে সাত হাজারেরও বেশি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। দিল্লিতে নতুন রোগীর সংখ্যা অন্তত ১২৫০। তবে রাজধানীর ব্যাঙ্কোয়েট হলগুলিকে আর নিভৃতবাস কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে না বলে জানিয়েছে আপ সরকার। হরিয়ানা সরকার আজ নির্দেশ দিয়েছে, প্রত্যেক শনি ও রবিবার রাজ্যে অত্যাবশ্যক ছাড়া সমস্ত পণ্যের দোকান বন্ধ থাকবে। ধানবাদে ডিআরএম অফিসের ২৭ জন কর্মীর করোনা ধরা পড়ায় অফিসটি তিন দিন বন্ধ রেখে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে টিকা ভারতে, বর্ধনের দাবি নিয়ে প্রশ্ন

(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)

কেন্দ্রীয় কর্তাদের একাংশ অবশ্য গোড়া থেকেই বলছেন যে, পরীক্ষা বাড়ছে বলেই সংক্রমিতের সংখ্যা কখনও কখনও লাফিয়ে বাড়ছে। সারা দেশের ১৫০৪টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ লক্ষের বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। মোট পরীক্ষার সংখ্যা ৩.৩৪ কোটিরও বেশি।


(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৮ মে-র তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৪৯৫৬। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৫২৬৯। তার আগের দু’দিন ছিল ৩৯৭০ এবং ৪৯৮৭। পরের দুদিনের সংখ্যা ছিল ৪৯৪৩ এবং ৫৬১১। ১৬ থেকে ২০ মে, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৪৯৫৬, যা ১৮ মে-র চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৯ মে-র চলন্ত গড় হল ১৭ থেকে ২১ মে-র আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)

Coronavirus in India Coronavirus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy