ছবি: পিটিআই।
করোনার ত্রাসে দেশ জুড়ে লকডাউনের জন্য গণপরিবহণ বন্ধ বেশিরভাগ রাজ্যে। যার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের জোগানের ঘাটতি নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে প্রথম দিনেই। রেল, মেট্রো , আন্তঃরাজ্য বাস পরিষেবা ও গণপরিবহন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বন্ধ পঞ্জাব, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ ও হরিয়ানায়। যার জেরে আজ সকালে প্রয়োজনীয় জিনিস পেতেই হিমশিম মানুষ।
মুম্বইয়ের মালাডে মুদিদোকান ও আনাজের বাজার খোলা ছিল। তবে জোগানের ঘাটতি থাকায় অনেককেই আনাজ না পেয়ে ফিরতে হয়েছে। ওষুধের দোকানগুলিতে আবার অন্য সমস্যা। বিক্রেতাদের প্রশ্ন, সরকার মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার দাম বেধে দিলেও বা সর্বনিম্ন দামে দেওয়ার কথা বললেও তারা নিজেরা কম দামে কিনতে পারছেন না। বাণিজ্যনগরীর কোনও কোনও জায়গায় একসঙ্গে পাঁচ জনের জমায়েত এমনকি ব্যক্তিগত গাড়িতেও পাঁচের বেশি আরোহী নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ দিকে, রাজধানীতে মেট্রো বন্ধ থাকায় জরুরি পরিষেবা যেমন পেট্রল পাম্প, নিরাপত্তা সংস্থা ও ওষুধের দোকানে কর্মরতরা কর্মক্ষেত্রে পৌঁছতে গিয়ে বিপদে পড়েছেন। সরকারি বাসের সংখ্যা এক চতুর্থাংশ কমিয়ে দেওয়ায় আধ ঘণ্টা থেকে ৪৫ মিনিট বাদে বাদে বাস পাচ্ছেন তাঁরা। দিল্লি ও তার পাশ্ববর্তী এলাকায় পরিষেবা বন্ধ করেছে ওলা ও উবর। কোনও কোনও ক্ষেত্রে জরুরি প্রয়োজনে ওলা চললেও উবর পরিষেবা সম্পূর্ণই বন্ধ। দিল্লিতে মুদি দোকান, আনাজ, দুধ, গ্যাস, টেলিকম পরিষেবা, খাবারের হোম ডেলিভারি, ব্যাঙ্ক, এটিএম, হাসপাতাল, ওষুধের দোকান খোলা। আজ সকালে নয়ডা ও দিল্লির সীমান্তে ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। কেরলেও শুধুমাত্র সব্জি, ফল, ওষুধ ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকান খোলা। তেলঙ্গানায় ৮৭ লক্ষের বেশি দরিদ্র মানুষকে বিনামূল্যে ১২ কেজি চাল ও ১৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy