প্রতীকী ছবি।
লকডাউনের জন্য বন্ধ স্কুল। অনলাইন ক্লাসেরও সুযোগ মেলেনি। হতাশায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিল কেরলের মলপ্পুরম জেলার নবম শ্রেণির ছাত্রী দেবিকা বালকৃষ্ণন।
১৪ বছরের ওই দলিত কিশোরীর স্মার্ট ফোন ছিল না। তিন মাস ধরে বাড়ির টেলিভিশনও খারাপ। এ দিকে গত কাল, সোমবার থেকেই অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে নয়া শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছে রাজ্যে। পড়ার সুযোগ মিলবে না, এই আশঙ্কা থেকেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেয় সে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত কাল দুপুর থেকেই নিখোঁজ ছিল দেবিকা। সন্ধেবেলায় তার দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। মিলেছে দেবিকার সুইসাইড নোটও। সেখানে লেখা ছিল, ‘‘আমি যাচ্ছি।’’
আরও পড়ুন: চিনা অ্যাপ সরাতে গিয়ে ফোনে জুজু ঢুকে পড়ছে না তো?
দেবিকার বাবা দিনমজুর। লকডাউনের জেরে রোজগার না থাকায় সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছিলেন। স্বভাবতই মেয়ের টিভি সারানোর আবদার রাখা সম্ভব হয়নি।
এই ঘটনায় জেলার শিক্ষা আধিকারিকদের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন শিক্ষামন্ত্রী সি রবীন্দ্রনাথ।
ইতিমধ্যেই টেলিভিশন বা স্মার্ট ফোন নেই, এমন পড়ুয়াদের সাহায্যের জন্য জেলাশাসকের কাছে তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছেন ওয়েনাড়ের সাংসদ রাহুল গাঁধী।
সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy