ছবি: সংগৃহীত।
লকডাউনে ঘরবন্দি পড়ুয়াদের অনলাইন শিক্ষায় জোর দিয়ে্ছে কেন্দ্র। লকডাউন ওঠার পরেও বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে এতেই গুরুত্ব দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ২০ লক্ষ কোটি টাকার ত্রাণ প্রকল্পের শেষ কিস্তির মধ্যেই ঘোষণা করলেন পিএম ই-বিদ্যা সমেত এক গুচ্ছ পরিকল্পনার কথা। যা শুনে এ বিষয়ে বিশদে আলোচনার দাবি তুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রবিবার নির্মলা জানিয়েছেন—
• খুব শীঘ্রই ঘোষিত হবে পিএম ই-বিদ্যা প্রকল্প। অনলাইনে পড়াশোনার এক সঙ্গে বহু রাস্তা খুলে দেওয়া হবে সেখানে। যেমন, ‘দীক্ষা’ই হবে সারা দেশে স্কুলের পড়াশোনার জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম (এক দেশ-এক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম)। প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রত্যেক ক্লাসের একটি করে নির্দিষ্ট পড়াশোনার টিভি চ্যানেল থাকবে (এক ক্লাস-এক চ্যানেল)। ব্যাপক ভাবে ব্যবহার হবে রেডিয়ো, কমিউনিটি রেডিয়োর। দৃষ্টি এবং শ্রবণশক্তিহীনদের জন্য তৈরি হবে বিশেষ ডিজিটাল পড়াশোনার সামগ্রী। অনলাইন ক্লাস চালুর জন্য ৩০ মে-র মধ্যেই অনুমতি দেওয়া হবে এনআইআরএফ-এর তালিকায় প্রথম একশোয় থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে।
• লকডাউনে মানসিক চাপে ভোগা পড়ুয়া, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের কথা মাথায় রেখে চালু হবে ‘মনোদর্পণ’ প্রকল্প।
• আন্তর্জাতিক মাপকাঠি এবং একুশ শতকের প্রয়োজনীয় দক্ষতার কথা ভেবে স্কুলের জন্য তৈরি হবে নতুন জাতীয় পাঠ্যক্রম।
আরও পড়ুন: দায়িত্বেও লকডাউন! এত নির্দয় হতে পারে একটা সরকার?
আরও পড়ুন: চতুর্থ দফার লকডাউনে কোথায় ছাড়, কোথায় নয়, দেখে নিন
এ ছাড়া, লকডাউনের মধ্যেও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক অনলাইন পড়াশোনায় কী কী পদক্ষেপ করেছে, তা-ও মনে করিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ বলেন, ‘‘শিক্ষা যুগ্ম তালিকাভুক্ত। শুধু বিবৃতি দিয়ে ছেড়ে দিলে হবে না। কারা কী করতে চায়, দেখব। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যেগুলি রাজ্যের। আলোচনা না-করে, না-জেনে মন্তব্য করতে চাই না। ওরা নিজেদের মতো ঘোষণা করছে। এই নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন।’’
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির (জুটা) সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘অনলাইন পঠনপাঠনের পরিকাঠামোই তো দেশে গড়ে ওঠেনি। সমস্ত পড়ুয়া তার সুফল পাচ্ছেন কি?’’ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন কুটা-র সাধারণ সম্পাদক সাংখ্যায়ন চৌধুরীর মতে, অনলাইন কোর্স বহুল ব্যবহারের পূর্ব শর্ত পরিকাঠামোর উন্নতির মাধ্যমে অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রীর কাছে তা পৌঁছনো। নইলে যাঁদের ওই পরিকাঠামো ব্যবহারের নিজস্ব সামর্থ্য রয়েছে, শুধু তাঁদের কাছেই তা পৌঁছবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy