সুপ্রিম কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন স্থগিত রাখার অধিকার আদালতের নেই বলে জানাল সুপ্রিম কোর্ট।
‘দক্ষিণ ভারত হিন্দি প্রচার সভা’র নির্বাচন সংক্রান্ত এক মামলায় শুক্রবার বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ জানিয়েছে, সংবিধানের ৩২৯ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আদালত আসন বণ্টন বা নির্বাচনী কেন্দ্রের সীমানা পুনর্বিন্যাসেও হস্তক্ষেপ করতে পারে না আদালত। নির্বাচনের ফলকে নির্বাচনী আবেদনের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ করা যায়।
‘দক্ষিণ ভারত হিন্দি প্রচার সভা’র আইনজীবী তুষার মেহতা জানান, ওই সভার কর্নাটক শাখার নির্বাচন স্থগিত রাখা উচিত। কারণ, ভোটার তালিকা ও অন্য বিষয়ে বহু গলদ রয়েছে। বিচারপতিরা বলেন, ‘‘গণতন্ত্রে নির্বাচন স্থগিত করতে চান? তাহলে গণতন্ত্রের আর থাকে কী?’’
বিচারপতিরা বলেন, ‘‘প্রথম দিকে নির্বাচন নিয়ে হস্তক্ষেপই করত না সুপ্রিম কোর্ট। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ভার নির্বাচন কমিশন ও অন্য কর্তৃপক্ষের উপরেই ছেড়ে দিত আদালত। কিন্তু পরে নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে কিছু নীতিগত পরিবর্তন করা হয়।’’
বিচারপতিরা বলেন, ‘‘প্রথম দিকে বিচারপতিরা বুঝতে পারেননি অসৎ ব্যক্তিরা কোর্টের নির্দেশ ও অবস্থানের সুযোগ নেবে। পরে বিচারপতি কৃষ্ণ আয়ার একটি জানলা খুলেছিলেন। পরে তা আরও প্রশস্ত করেন বিচারপতি ভগবতী। আগে আইনসভা ও প্রশাসনের উপরে বিপুল ভরসা ছিল। মনে করা হত তারা কোনও অন্যায় করতে পারে না। কিন্তু যা ঘটছিল তা দেখে একটি জানলা খোলার সিদ্ধান্ত নেন বিচারপতিরা। কারণ নির্বাচনী আবেদনে এই বিষয়ের ফয়সালা হবে, এ কথা বলে লাভ হচ্ছিল না। পাঁচ বছরের মধ্যে ক’টি নির্বাচনী আবেদনের নিষ্পত্তি হয়? সম্ভবত একটিরও নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy