সীতারাম ইয়েচুরি। ফাইল চিত্র।
এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের বা়ড়িতে বুধবার রাতের বৈঠকে আচমকাই প্রাক-নির্বাচনী জোটের প্রস্তাব উঠেছে। ওই প্রস্তাব বিপাকে ফেলেছে সিপিএম-কে। কোনও রাখঢাক না করেই সিপিএম নেতারা বলছেন, প্রাক-নির্বাচনী কোনও জোটে তাঁদের শামিল হওয়া কার্যত সম্ভব নয়।
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এত দিন বলে আসছিলেন, নির্বাচনের আগে কোনও রকম জোট সম্ভব নয়। যা হবে ভোটের পরে। তার বদলে রাজ্যে রাজ্যে বিরোধী দলগুলির মধ্যে জোট বা আসন সমঝোতা হবে। পওয়ারের বাড়িতে প্রাক-নির্বাচনী জোট প্রস্তাবে উভয় সঙ্কটে সিপিএম। কারণ, যে জোটে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন, সেখানে সিপিএমের পক্ষে থাকা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। আবার জোটে না থাকলে, জাতীয় রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
সিপিএমের পলিটব্যুরো সদস্য হান্নান মোল্লা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষে ওই জোটে যাওয়া সম্ভব নয়। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘এই জোট হলেও নিজেদের মধ্যে আসন সমঝোতা করা মুশকিল। কারণ, লোকসভায় আসন সংখ্যা তো বাড়ছে না। ফলে একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়তে হবে। তাঁদের পক্ষে অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি তৈরি করাও সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।’’ ইয়েচুরির যুক্তি ছিল, ১৯৯৬-এ যুক্তফ্রন্ট, ২০০৪-এ ইউপিএ, এমনকি, এনডিএ-ও তৈরি হয়েছিল ভোটের পরেই। ইউপিএ বা যুক্তফ্রন্ট সরকারের ক্ষেত্রে অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচির খসড়া তৈরির ক্ষেত্রে তাত্ত্বিক বাম নেতারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। যদিও সিপিএম নেতাদের একাংশের বক্তব্য, ওই কর্মসূচি তৈরি করেও লাভ হয় না। কারণ, সরকার গঠনের পর উদার অর্থনীতি অনুসরণ করা দলগুলি ওই কর্মসূচির অধিকাংশ বিষয়ই কার্যকর করে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশে মতে, জাতীয় রাজনীতিতে বর্তমানে বামেরা কোণঠাসা। জোটে না শামিল না হলে অপ্রাসঙ্গিক হওয়ার সম্ভাবনাও ভাবাচ্ছে বাম নেতৃত্বকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy