দানা বাঁধছে না আন্দোলন-প্রতিবাদ। শশী তারুর, করণ সিংহদের গলায় উদ্বেগ। একের পর এক বিধায়ক দল ছাড়ায় হাতছাড়া হয়েছে কর্নাটক রাজ্য। শীর্ষ নেতৃত্বের গয়ংগচ্ছ মনোভাবে দল ছেড়েছেন দীর্ঘদিনের কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ। এই পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত দেরিতে হলেও দলের সভাপতি নির্বাচনের দিকে এগোতে শুরু করল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি (সিডব্লিউসি)। আগামী ১০ অগস্ট বৈঠকে বসছে দলের নীতি নির্ধারণ কমিটি। মূল অ্যাজেন্ডা, রাহুল গাঁধীর উত্তরসূরি নির্ধারণ। রাহুলের ইস্তফার প্রায় আড়াই মাস পর বৈঠকে বসছে সিডব্লিউসি।
লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরপরই দলের ভরাডুবির দায়িত্ব নিয়ে সিডব্লিউসি-র বৈঠকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। কিন্তু দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সে সময় তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে তাঁকেই দায়িত্বে থাকার আর্জি জানায়। তারও মাসখানেক পরে প্রকাশ্যে আনেন নিজের ইস্তফাপত্র। শুধু তিনি নিজে নয়, গাঁধী পরিবারের কাউকেও সভাপতি পদের জন্য না ভাবার কথা বলেন রাহুল। পাশাপাশি বেশ কয়েক বার বলেছেন, তাড়াতাড়ি সভাপতি নির্বাচন করতে। কিন্তু প্রায় তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও এখনও সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়াই কার্যত শুরু করতে পারেনি কংগ্রেস।
এই পরিস্থিতিতে দলের রাশ কার্যত আলগা, দিশা নেই। কোন পথে আন্দোলন, কী ভাবে বিজেপির মোকাবিলা, সংসদের স্ট্র্যাটেজি কী— সে সব বিষয়ে সাংসদ থেকে নেতারা কার্যত বিভ্রান্ত। একের পর এক নেতা পদ ছেড়েছেন। দলই ছেডে় দিয়েছেন অমেঠীর দীর্ঘদিনের বর্ষীয়ান নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিংহ। তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বলেও খবর। কর্নাটকে একের পর এক বিধায়ক দল ছাড়া এবং তার জেরে ডেজিএস-কংগ্রেস জোটের সরকার পড়ে গেলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তেমন কাউকে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। আবার শশী তারুর, করণ সিংহের মতো নেতাদের গলায় হতাশার সুর।