Cyclone Fani: Photogallery of devastated Odisha dgtl
Cyclone Fani
ফণীর ছোবলে বিধ্বস্ত পুরী থেকে কটক, দেখে নিন বিপর্যস্ত ওড়িশার ছবি
ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগে মুহূর্তে যেন লন্ডভন্ড বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রস্তুতির অভাব ছিল না। তার পরেও ৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৯ ১৩:২৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১২০
ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগে মুহূর্তে যেন লন্ডভন্ড বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রস্তুতির অভাব ছিল না। তার পরেও ৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে। ছবি: এএফপি।
০২২০
প্রশাসনের হিসেবে ভুবনেশ্বর, কটক, জাজপুর, ভদ্রকে কয়েক হাজার গাছ পড়ে আটকে যায় সড়ক। ছবি: পিটিআই
০৩২০
মোবাইল টাওয়ার উপড়ে ওড়িশার বিস্তীর্ণ এলাকার সঙ্গে বাকি বিশ্বের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ছবি: রয়টার্স।
০৪২০
ভুবনেশ্বরে ঝড় বয়েছিল ১৪০ কিলোমিটার গতিতে। পরে কটক ও জাজপুরের কাছে সেই গতি কমে ১০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়ায়।
০৫২০
ফণীর তাণ্ডবে লন্ডভন্ড ভুবনেশ্বরের বিজু পট্টনায়ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ওড়িশা সরকার জানিয়েছে, ঝড়ের দাপটে বিপুল ক্ষতি হয়েছে বিমানবন্দরের যন্ত্রপাতির।
০৬২০
প্রবল বেগে ঘূর্ণির মতো হাওয়া বইছিল সকাল থেকেই। গাছগুলো অসম্ভব বেগে দুলছিল। সঙ্গে সোঁ সোঁ আওয়াজ, তারপরই তাণ্ডব শুরু করে ফণী। ফণীর দাপটে সব মিলিয়ে আট জনের মৃত্যুর খবর এসেছে।
০৭২০
যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিকল হয়ে পুরী বিচ্ছিন্ন দ্বীপে পরিণত হয় শুক্রবারে। মূলত শহরকেন্দ্রিক ছবিই উঠে এসেছে ফণীর ধ্বংসলীলার।
খুরদা রোডের বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল ও বিদ্যুতের টাওয়ার, হোর্ডিং ভেঙে পড়ে, উপড়ে যায় বিদ্যুতের খুঁটি।
১০২০
একের পরে এক বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়া, যাবতীয় কাঠ-বাঁশের কাঠামো ভেঙে মাটিতে গুঁড়িয়ে যায় ফণীর ছোবলে। খেলনার মতো চেয়ার-টেবিল বাতাসে ভাসতে-ভাসতে বহু দূরে উড়ে গিয়েছে, এমন ছবিও ধরা পড়েছে।
১১২০
কাচের যাবতীয় দরজা-জানালা ভেঙে চুরমার হয়ে যায় শহরাঞ্চলের বাড়িগুলিতে। গ্রামাঞ্চলের বাড়িগুলিতে প্রভাব ছিল আরও মারাত্মক।
১২২০
পুরী-কটকের রাস্তায় মোবাইলের টাওয়ারগুলো যেন কেউ খেলনার মতো ফেলে দিয়েছে রাস্তায়। গাছও উপড়ে পড়েছে সেই সঙ্গে।
১৩২০
ইটের বড় চাঙড় উড়ে এসে পড়েছে গাড়িতে। সর্বত্র শুধু ধ্বংসস্তূপের চিত্র ধরা পড়েছে এ দিন।
১৪২০
শুক্রবার সকাল আটটা নাগাদ চারদিক লন্ডভন্ড করে দিয়ে পুরো শক্তি নিয়ে পুরীতে আছড়ে পড়ে ফণী। তখন চার দিকে শুধু বৃষ্টি আর ঝড়।
১৫২০
মন্দিরের সামনে বিশাল চওড়া যে গ্র্যান্ড রোড ধরে জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলরামের রথ বেরোয়, সেই রাস্তা জুড়েও ছড়িয়ে রয়েছে ছেঁড়া ফ্লেক্স আর কাঠকুটোর টুকরো, ভাঙা টিনের চালা।
১৬২০
কটকের বেশির ভাগ রাস্তায় ব্যানার, হোর্ডিং, খুঁটি কিছুই আর আস্ত ছিল না। গ্রামে মাটির বাড়িগুলি একেবারে গুঁড়িয়ে গিয়েছে।
১৭২০
জগৎসিংহপুর, গঞ্জাম, কেন্দ্রাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ছিল মারাত্মক। গ্রামীণ এলাকায় প্রভাব পড়েছে অনেকটাই বেশি।
১৮২০
পুরীর স্থানীয় এলাকায় যে অটো কিংবা রিকশা চলে, সেগুলিও ফণীর দাপটে ভেঙে যায়। ওড়িশা সরকারের তরফে তাঁদের ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
১৯২০
আবহাওয়া দফতরের হিসেবে ১৯৯৯-এর সুপার সাইক্লোনের পরে এত ভয়ঙ্কর মাত্রার ঘূর্ণিঝড় গত ২০ বছরে এই এলাকায় হয়নি।