গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে ৪,৪৭৪ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। —ফাইল চিত্র
গত দু’দিন ধরে দেশে দৈনিক করোনা সংক্রমণ তিন হাজারের ঘরে থাকলেও গত ২৪ ঘণ্টায় তা এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়ে চার হাজারের গণ্ডি পার করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ৪,২৫৬। বুধবার এই সংখ্যা ছিল ৩,৬০৭। রাজ্যভিত্তিক কোভিড পরিস্থিতির দিকে লক্ষ করলে দেখা যায়, দৈনিক সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে কেরল। গত ২৪ ঘণ্টায় কেরলে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা রয়েছে হাজারের উপরেই। কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, কেরলে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ১,৫৯৮। দৈনিক সংক্রমণের তালিকায় এর পর রয়েছে তামিলনাড়ু (৫৩৫), মহারাষ্ট্র (৪৯২), পশ্চিমবঙ্গ (৩০৯) এবং কর্নাটক (২৬৪)।
(গ্রাফের উপর হোভার বা টাচ করলে প্রত্যেক দিনের পরিসংখ্যান দেখতে পাবেন। চলন্ত গড় কী এবং কেন তা লেখার শেষে আলাদা করে বলা হয়েছে।)
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডের প্রকোপ থেকে ৪,৪৭৪ জন ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশ জুড়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ৪০ লক্ষ ১৩ হাজার ৯৯৯ জন।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কোভিড বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে তিন জন, পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারে দু’জন এবং সিকিম, ত্রিপুরা, রাজস্থান, কর্নাটকে এক জন ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এ ছাড়াও করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেরলে ১৬ জন ব্যক্তির আগে মৃত্যু হয়েছিল যা তালিকায় পরে নথিভুক্ত করা হয়েছে। বুধবার এই সংখ্যা ছিল ১৪। দেশে এখনও পর্যন্ত ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৯০৮ জন ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ৮,৮৫৯। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ৬,৫৯৪। তার আগের দু’দিন ছিল ৮,৫৮২ এবং ৮,০৮৪। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ৮,৮২২ এবং ১২,২১৩। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ৮,৮৫৯, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy