সমাপতন এমনও হয়। এনকাউন্টার বললেই যে পুলিশ অফিসারের কথা মনে পড়ে, বিকাশ দুবে এনকাউন্টারের পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহেও হাজির সেই তিনিই!
দয়া নায়ক। বলিউডি ফিল্প ‘অব তক ছপ্পন’-এর অনেকটারই ভিত্তি নাকি ছিল এই ইন্সপেক্টরের কার্যকলাপ। দয়া এখন মহারাষ্ট্র পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম স্কোয়াডের (এটিএস) অফিসার। শনিবার তাঁর নেতৃত্বেই ঠাণে থেকে ধরা হয় বিকাশের সঙ্গী অরবিন্দ ওরফে গুড্ডন ত্রিবেদী এবং তার গাড়ির চালক সোনু তিওয়ারিকে। রাতে অনেক চেষ্টার পর দয়ার নাগাল পাওয়া গেলেও এনকাউন্টার নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ দয়া। আনন্দবাজারকে সাফ বললেন, ‘‘আমি মুম্বইয়ে, আপনি কলকাতায়। উত্তরপ্রদেশ অন্য রাজ্য। সেখানে কী হয়েছে, তা সেই রাজ্যের বিষয়। তা নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’’ বললেনও অবশ্য অনেক কিছু। তাঁর মতে, ‘‘পুলিশ নিজের কাজ করে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ। সে আইনের কাছে দায়িত্ববান। পুলিশকেও নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহি করতে হয়।’’ মনে পড়ে যাচ্ছিল ‘অব তক ছপ্পন’-তে নানা পাটেকর অভিনীত ইন্সপেক্টর সাধু আগাশের মুখে সেই সংলাপ, ‘হাম সব সিস্টেমকা হিসসা হ্যায়। সিস্টেম ডিসাইড করতা হ্যায়, আপুন ফলো করতা হ্যায়।’’
আপনার জীবন নিয়ে এমন সিনেমা হয়েছে, আপনি এনকাউন্টার স্পেশ্যালিস্ট, এনকাউন্টার নিয়ে কিচ্ছু বলবেন না? দয়ার গলা শুনে মনেই হয় না, সারাদিন দুই দুঁদে অপরাধীর পিছনে কেটেছে। একই রকম নিস্পৃহভাবে বলেন, ‘‘এ সব তকমা ইত্যাদি মিডিয়ার দেওয়া। তবে বলতে পারি মন দিয়ে ডিউটি করেছি। আমার কোনও অভিযান নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি।’’