কাশ্মীরে সেনা জওয়ানের অপহরণের খবর অস্বীকার করল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। অন্য দিকে জম্মুর কিশ্তওয়ারে এক পুলিশকর্মীর বাড়ি থেকে একে-৪৭ রাইফেল লুট করল জঙ্গিরা।
কাল বদগামের বাসিন্দা মহম্মদ ইয়াসিনের পরিবার দাবি করে, তাঁকে অপহরণ করেছে জঙ্গিরা। ইয়াসিন ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। কিন্তু আজ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দাবি করে, ওই জওয়ান অপহৃত হননি। তিনি নিরাপদেই আছেন। সেনা-কর্তারা জানিয়েছেন, গত কাল ইয়াসিন কোথায় ছিলেন এবং তাঁর পরিবার এমন দাবি করল কেন তা জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
অন্য দিকে, কিশ্তওয়ারে দলীপ সিংহ নামে এক পুলিশকর্মীর বাড়ি থেকে একে-৪৭ রাইফেল লুট করেছে জঙ্গিরা। পুলিশ জানিয়েছে, দলীপ কিশ্তওয়ারের ডেপুটি কমিশনার আংরেজ সিংহের দফতরে মোতায়েন রয়েছেন। কিশ্তওয়ারের শেডি বাজারে একটি ভাড়াবাড়িতে ছেলেকে নিয়ে থাকেন তিনি। গত কাল সন্ধ্যায় হঠাৎই তাঁর বাড়িতে হানা দেয় জঙ্গিরা। দলীপের ছেলের মাথার কাছে পিস্তল ধরে তারা জানতে চায়, একে-৪৭ কোথায় রয়েছে। দলীপ জানান, তিনি জেলা পুলিশের দফতরে অস্ত্র জমা দিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু জঙ্গিরা আলমারি খুলে একে-৪৭ লুট করে। তার পরে চম্পট দেয়।
এরই মধ্যে আখনুর সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে একটি আইইডি খুঁজে পেয়েছে বাহিনী। তার ফলে বড়সড় বিস্ফোরণের ঘটনা এড়ানো গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের।
আরও পড়ুন: জোট প্রশ্নে প্রিয়ঙ্কা থমকে, সরব সিন্ধিয়া
২ নেতাকে তলব: দিন পনেরো আগে হুরিয়ত নেতা সৈয়দ আলি শাহ গিলানি, মিরওয়াইজ উমর ফারুক-সহ কাশ্মীরের বেশ কয়েক জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার বাড়িতে হানা দিয়েছিল এনআইএ। এ বার সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের মামলায় মিরওয়াইজ ও গিলানির ছেলে নাসিমকে দিল্লিতে তলব করল তারা।
২০১৬-১৭ সালে উপত্যকায় অশান্তি ও জঙ্গি কার্যকলাপের জেরে বেশ কয়েক জন বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এনআইএ। তাঁদের কয়েক জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। সম্প্রতি পুলওয়ামা হামলার পরে ফের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযানে গতি এনেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তার জেরেই কয়েক জন নেতার শ্রীনগর ও দিল্লির বাড়ি-অফিসে হানা দেন তদন্তকারীরা।
আজ শ্রীনগর পুলিশের মাধ্যমে মিরওয়াইজ ও নাসিমকে সমন পাঠিয়েছে এনআইএ। সোমবার দিল্লির এনআইএ দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy