Advertisement
০২ মে ২০২৪
Non-Veg

দিল্লির হংসরাজ কলেজে আমিষে কোপ! নিরামিষে আপত্তি জানাননি কোনও পড়ুয়া, দাবি অধ্যক্ষার

অধ্যক্ষার দাবি, পড়ুয়াদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনার পরেই বোধ হয় আমিষ খাবার পরিবেশন বন্ধ করেছে কলেজ কমিটি। পড়ুয়াদের একাংশের মতে, আমিষাশীদের খাদ্যাভ্যাসে আপত্তি জানানো উচিত নয়।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ হংসরাজ কলেজে কী খাবার পরিবেশন করা হবে, তা নিয়ে কোনও বাধাধরা নিয়ম নেই।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ হংসরাজ কলেজে কী খাবার পরিবেশন করা হবে, তা নিয়ে কোনও বাধাধরা নিয়ম নেই। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ ১৭:১৪
Share: Save:

দিল্লির হংসরাজ কলেজের হস্টেল ও ক্যান্টিনে আমিষ খাবার পরিবেশন করা বন্ধ হয়েছে। পাওয়া যাচ্ছে শুধু মাত্র নিরামিশ খাবার। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে এমনই খবর। যদিও কলেজের অধ্যক্ষা রমা শর্মার দাবি, পড়ুয়াদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনার পরেই বোধ হয় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ কমিটি। তা ছাড়া, নিরামিষ খাবার নিয়ে আপত্তি জানাননি পড়ুয়ারা। যদিও পড়ুয়াদের একাংশের পাল্টা দাবি, আমিষাশীদের মাছ-মাংস খাওয়ায় আপত্তি জানানো উচিত নয় কলেজ কর্তৃপক্ষের।

দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ এই কলেজে কী খাবার পরিবেশন করা হবে, তা নিয়ে কোনও বাধাধরা নিয়ম নেই। অভিযোগ, অতিমারিতে লকডাউন পর্বের পর অফলাইনে কলেজের ক্লাস শুরু হলে ক্যান্টিন ও হস্টেলে আমিষ খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে না। যদিও অধ্যক্ষার দাবি, ‘‘গত ৩-৪ বছর ধরেই হংসরাজ কলেজে আমিষ খাবার বন্ধ। কলেজে শুধু মাত্র নিরামিষ খাবার পরিবেশন করার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগও আসেনি। তবে ক্যান্টিনে কখনই আমিষ খাবার পরিবেশন করা হত না। কোভিডের পর কলেজ খুললে হস্টেলেও আমিষ খাবার বন্ধ করে দেওয়া হয়।’’

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, দিল্লির এই সরকারি কলেজে বেশির ভাগ পড়ুয়াই দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দা। তাঁদের একাংশ কলেজ কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে অসুবিধায় পড়েছেন বলে দাবি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক পড়ুয়া বলেন, ‘‘আগে এই কলেজে আমিষ খাবার পরিবেশন করা হত। কলেজে আচমকাই মাছ-মাংস, ডিমের মতো আমিষ খাবারদাবার পাওয়া যাচ্ছে না। এতে সমস্যায় পড়েছেন দক্ষিণ ভারত থেকে আসা আমিষাশী ছাত্র-ছাত্রীরা। আমার মনে হয়, যাঁরা আমিষ খেতে চান, তাঁদের নন-ভেজ় খাবার দেওয়া উচিত।’’ যদিও অধ্যক্ষার মতে, কলেজের বেশির ভাগ পড়ুয়াই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। অন্য এক প়ড়ুয়ার কথায়, ‘‘কলেজের হস্টেলে আমিষাশীদের সংখ্যা অনেক কম। যাঁরা আমিষ খেতে চান, তাঁরা কলেজের বাইরে গিয়ে তা খেতেই পারেন। নিরামিষ খাবার নিয়ে পড়ুয়াদের আপত্তি নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE