Advertisement
E-Paper

ক্ষতিপূরণের দাবিতে ঘেরাও পরিষদ

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ না পেয়ে এন সি হিলস ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট ফোরাম আজ উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের সচিবালয় ঘেরাও করে। সেখানে ছিলেন ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ডেভিড কেভম।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:০৫
চলছে ঘেরাও। পার্বত্য পরিষদ দফতরের সামনে। ছবি: বিপ্লব দেব।

চলছে ঘেরাও। পার্বত্য পরিষদ দফতরের সামনে। ছবি: বিপ্লব দেব।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ না পেয়ে এন সি হিলস ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট ফোরাম আজ উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের সচিবালয় ঘেরাও করে। সেখানে ছিলেন ছাত্র সংগঠনের সভাপতি ডেভিড কেভম।

লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ ও ইস্ট-ওয়েস্ট করিডর নির্মাণের সময় মাহুর থেকে ডিটেকছড়া পর্যন্ত অনেক গ্রামের কৃষিজমি, স্কুল, প্রার্থনা ঘর, গির্জা নষ্ট হয়েছে।

কিন্তু রেল বা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সে সবের ক্ষতিপূরণ দেয়নি বলে অভিযোগ। ছাত্র সংগঠনটির বক্তব্য, রেল ও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের ভূমি ও রাজস্ব বিভাগের সচিব সন্দেশ আরদাও এ সংক্রান্ত ফাইল আটকে রেখেছেন। তাতে সমস্যা পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল, ডিমা হাসাও জেলা প্রশাসন ও পার্বত্য পরিষদের ভূমি ও রাজস্ব বিভাগের অফিসাররা ওই ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামে যৌথ সমীক্ষা চালিয়ে ক্ষতিপূরণের হিসেব কষেছিলেন। ওই সংক্রান্ত নথিতে স্বাক্ষর করেননি পরিষদের ভূমি রাজস্ব বিভাগের সচিব সন্দেশবাবু। তাই জমির মালিকরা ক্ষতিপূরণ পাননি। ছাত্র সংগঠনের পরিষদ সচিবালয় ঘেরাওয়ের খবর পেয়ে সন্দেশ আরদাও এ দিন অফিসে যাননি। পার্বত্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সিইএম এস টি জেম রাংখল, অতিরিক্ত জেলাশাসক রাহুল দোলে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বনোয়ার লাল ভূমি রাজস্ব বিভাগের সচিবকে ফোন করে অন্দোলনকারীদের সামনে এসে এ বিষয়ে কথা বলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই অফিসার তাঁর ফোন বন্ধ করে দেন। বাড়িতে লোক পাঠালেও তাঁর দেখা মেলেনি। এ দিন সন্ধে পর্যন্ত সচিবালয় ঘেরাও করে রাখেন ছাত্র সংগঠন ও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামের বাসিন্দারা।

পরিষদ সচিবালয়ের সামনের রাস্তায় ব্যারিকেড গড়ে বিক্ষোভকারীদের আটকে দিয়েছিল পুলিশ। বেলা বাড়তেই পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের হাতাহাতি শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা সচিবালয়ের প্রধান প্রবেশ-দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। পুলিশ তাঁদের আটকায়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত জেলাশাসক পরে ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট ফোরামের সভাপতি ও বিক্ষোভকারীদের কাছে ঘেরাও তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। ডেভিড কেভম জানিয়ে দেন, ওই সরকারি সচিব তাঁদের সামনে এসে জমির ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত ফাইলে স্বাক্ষর করার প্রতিশ্রুতি না দেয় ঘেরাও উঠবে না।

Gherao Comepensation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy