Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ধানবাদ-চন্দ্রপুরার বিকল্প রুট শীঘ্রই

গত মাসের মাঝামাঝি ধানবাদ-চন্দ্রপুরা রেললাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই ৩৬ কিলোমিটার লাইনের তলায় কয়লা খনিতে আগুন জ্বলতে থাকায় রেললাইনে ধস নামার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কেননা আগুনের তাপে ঝুরঝুরে হয়ে পড়ছিল মাটি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৭ ১৩:১০
Share: Save:

আস্ত একটি রেললাইন বন্ধ করে দিয়ে একটা সম্ভাব্য মহাবিপদ আপাতত এড়ানো গিয়েছে। কিন্তু চলাচলের বিকল্প বন্দোবস্ত না-হওয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা পড়েছেন মহাসমস্যায়। যাতায়াতের নতুন ব্যবস্থা চেয়ে সরব হয়েছেন তাঁরা। ধানবাদ-চন্দ্রপুরা লাইনের সেই সব যাত্রীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই ৭৫০ কোটি টাকার নতুন একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে রেল মন্ত্রক।

কয়লা খনির আগুনে বিপদের আশঙ্কা থাকায় ধানবাদ-চন্দ্রপুরা রেললাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কিছু দিন আগে। ৭৫০ কোটি টাকার নতুন প্রকল্পে ওই লাইনের যাত্রীদের যাতায়াতের বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে। রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর, নতুন লাইন পাতা, স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং উড়ালপুল তৈরির জন্যই এই বাড়তি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। মন্ত্রকের তরফে এই সব প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান রেলকর্তারা।

গত মাসের মাঝামাঝি ধানবাদ-চন্দ্রপুরা রেললাইন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই ৩৬ কিলোমিটার লাইনের তলায় কয়লা খনিতে আগুন জ্বলতে থাকায় রেললাইনে ধস নামার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। কেননা আগুনের তাপে ঝুরঝুরে হয়ে পড়ছিল মাটি। যে-কোনও সময়েই সেই মাটি বসে গিয়ে মহা অনর্থের আশঙ্কা ছিল। ওই লাইন বন্ধ করায় সেই বিপদের আশঙ্কা কেটেছে ঠিকই। কিন্তু ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই এলাকার কয়েক লক্ষ যাত্রীকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।

এর সমাধানসূত্র হিসেবে আপাতত ধানবাদ-চন্দ্রপুরা লাইনের বিকল্প রুটের গোমো স্টেশনে পরিকাঠামো বাড়ানো হবে। কারণ, ওই লাইনে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে। গোমো ও ধানবাদ সংলগ্ন মাত্রি স্টেশন জুড়ে দেওয়ার জন্য পাতা হবে নতুন লাইন। এই খাতে বরাদ্দ হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। এই সংযুক্তির জন্য গড়া হচ্ছে একটি উড়ালপুলও। তাতে খরচ হবে ২৫০ কোটি টাকা। রেলকর্তারা জানান, এখন ধানবাদ থেকে আসা ট্রেনগুলিকে (রিভার্সাল) একই পথে ঢুকে আবার সেই পথেই যেতে হয়। মাত্রিকে সংযুক্ত করা গেলে একই লাইন দিয়ে যাতায়াত করতে হবে না। ফলে ট্রেনের দেরিও হবে না।

এ ছাড়াও ধানবাদ-চন্দ্রপুরা রুটের বিকল্প অন্য একটি রুটের প্রস্তাব বিবেচনা করছে রেল। নতুন রুট কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে সমীক্ষা চালানো হবে। সমীক্ষার ফল ইতিবাচক হলে কালবিলম্ব না-করে নতুন রুট তৈরির কাজ শুরু করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE