রাস্তায় গাড়ি আটকে টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করেছে ধৃত মাওবাদী জঙ্গি সুমন ওরাং। এমনই দাবি করল পুলিশ। ধৃত ওই জঙ্গি সাংবাদিকদের সামনেও একই কথা বলেছে। তার বক্তব্য, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হতো না। যাত্রীবাহী গাড়ি আটকেও নয়। মাফিয়ারা জঙ্গল কেটে সাফ করে দিচ্ছে। নদীর বালি-পাথর তুলে জীব বৈচিত্র্য নষ্ট করছে। বন বিভাগের কয়েক জনও ওই চক্রে জড়িত। ওই দুষ্কৃতী দলের গাড়িগুলি থেকেই টাকা আদায় করা হতো।
সুমনের মন্তব্য, “রূপাছড়ায় রাস্তা নেই। পানীয় জল নেই। নেই স্কুল। কষ্টে দিন কাটে এলাকাবাসীর। দাবি আদায়ে প্রায়ই সকলকে শিলচরে গিয়ে মিছিল, ধর্নায় বসতে হয়। সংগৃহীত টাকা দিয়েই সে সবের খরচ মেটানো হয়। সাহায্য করা হয় গরিব পরিবারের মেয়ের বিয়ে, দুঃস্থ ছাত্রের পড়াশোনাতেও।” এ সবের জন্য সে সরকারকেই দায়ী করে বলে, “উন্নয়ন হলে আন্দোলনের দরকারই হতো না। রাস্তার গাড়ি থেকে টাকাও তুলতাম না। মাফিয়াদের অন্য ভাবে শায়েস্তা করা যেত।” ওই জঙ্গির ৪ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে। ১৯ বছরের টগবগে তরুণ নিজেকে মাওবাদী বলে মনে করে না। তার কথায়, “কোনও দিন বন্দুক হাতে নিইনি। জঙ্গি কীসের!” মাওবাদের মতো কঠিন বিষয় তার পছন্দ নয়। তবে ধৃত সুমন মেনেছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে নেতারা রূপাছড়ায় আসতেন। তবে তারা মাওবাদী কি না, সেটা জানত না বলে দাবি সুমনের। সে বলে, “মাঝেমধ্যে ক্লাস হতো। সবাই আলোচনা করত।” অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শঙ্করব্রত রায়মেধি বলেন, “মাওবাদীদের সঙ্গে স্থানীয় অনেকের যোগাযোগ রয়েছে। জঙ্গিদের সক্রিয় ভাবে সাহায্যের প্রমাণ পেলে তাদের গ্রেফতার করা হবে। মাওবাদীদের বড়-মাঝারি নেতা বরাকে এলে রূপাছড়াতেই থাকে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy