Advertisement
১৭ মে ২০২৪

একসঙ্গে দু’টি আসনে প্রার্থী, আপত্তি কমিশনের

নেতাদের এ ভাবে একসঙ্গে দু’টি কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ার বিরুদ্ধেই আজ মতামত জানাল নির্বাচন কমিশন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:০১
Share: Save:

গুজরাতের বডোদরার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের বারাণসী—২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে একসঙ্গে দু’টি কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী।

নেতাদের এ ভাবে একসঙ্গে দু’টি কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ার বিরুদ্ধেই আজ মতামত জানাল নির্বাচন কমিশন। সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে কমিশনের আর্জি, এক জনের দু’টি কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হোক। তার জন্য জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে সংশোধন হোক। নির্বাচন কমিশন এই অবস্থান নেওয়ার পরে বল এখন মোদী সরকারের কোর্টে। এত দিন কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিক নেতাদের দু’টি কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিতেই চেয়েছে। তা সে মনমোহন জমানাতেই হোক বা মোদী জমানা। তাই ২০০৪ ও ২০১৬ সালে কমিশন দু’বার এই প্রস্তাব পাঠালেও লাভ হয়নি। সুপ্রিম কোর্টেও কেন্দ্র অবস্থান স্পষ্ট করেনি। সেই কারণে আজ কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়েছে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রর বেঞ্চ।

মূলত ভোটে জয় নিশ্চিত করতেই নেতারা একসঙ্গে দু’টি কেন্দ্রে প্রার্থী হন। কিন্তু কমিশনের যুক্তি, এটি পরিহারযোগ্য এবং অপ্রয়োজনীয়। এতে সরকারি কোষাগারের বোঝা বাড়ে। কারণ, একই প্রার্থী একসঙ্গে দু’টি আসনে জিতলে, একটি থেকে পদত্যাগ করতে হয়। জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে দু’টি আসনে প্রার্থী হওয়ার ছাড় থাকলেও একইসঙ্গে দু’জায়গার সাংসদ বা বিধায়ক হওয়ার সুযোগ নেই। ফলে একটি আসনে ফের উপনির্বাচন করাতে হয়। এ ছাড়া, জয়ী প্রার্থীকে যাঁরা ভোট দিয়েছেন, সেই ভোটারদের প্রতিও এক্ষেত্রে অবিচার হয় বলে কমিশনের যুক্তি। সুপ্রিম কোর্টে এই দাবি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা, আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। তাঁকে সমর্থন করে কমিশনের দাবি, সুপ্রিম কোর্ট অন্তত উপনির্বাচনের খরচ ওই প্রার্থীকে বহন করার নির্দেশ দিক।

ইন্দিরা গাঁধী ১৯৮০-তে সালের লোকসভা ভোটে একসঙ্গে রায়বরেলী ও অন্ধ্রের মেডক থেকে ভোটে লড়েছিলেন। প্রতিবারই লোকসভা ভোটের আগে গুজব ছড়ায়, রাহুল গাঁধীও অমেঠীর সঙ্গে সেই মেডক থেকে প্রার্থী হবেন। ১৯৯৯-এ অমেঠীর পাশাপাশি কর্নাটকের বল্লারী থেকে ভোটে লড়েছিলেন সনিয়া গাঁধীও। লালুপ্রসাদ, মুলায়ম সিংহ যাদব, অখিলেশ যাদবদেরও একাধিক আসনে লড়ার নজির রয়েছে। ১৯৯৬-এর আগে একসঙ্গে দু’টির বেশি আসনে ভোটে লড়ারও অনুমতি ছিল। তেলুগু দেশম প্রতিষ্ঠার পর একসঙ্গে তিনটি আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন এন টি রাম রাও। ওড়িশায় ১৯৭১-এ একইসঙ্গে চারটি বিধানসভা আসন ও একটি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন বিজু পট্টনায়ক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE