E-Paper

গুজরাতে অন্তর্দ্বন্দ্ব, ইস্তফার ঢেউ কংগ্রেসে

গুজরাতের বিসবদর এবং কড়ী বিধানসভা কেন্দ্রে একটিতে আম আদমি পার্টি, একটি বিজেপি জিতে গিয়েছে। হারের নৈতিক দায় নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শক্তিসিন গোহিল।

প্রেমাংশু চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২৫ ০৭:৫৫
রাহুল গান্ধী।

রাহুল গান্ধী। —ফাইল চিত্র।

২০২৯-এ আগামী লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাহুল গান্ধী ২০২৭-এ নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের ঘরের মাঠ গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারাতে চাইছেন। সেই লক্ষ্যে জেলায় জেলায় পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে দু’দিন আগেই রাজ্যে ৪০ জন জেলা ও নগর কংগ্রেস কমিটির সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সোমবার গুজরাতের দুই বিধানসভা উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

গুজরাতের বিসবদর এবং কড়ী বিধানসভা কেন্দ্রে একটিতে আম আদমি পার্টি, একটি বিজেপি জিতে গিয়েছে। হারের নৈতিক দায় নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শক্তিসিন গোহিল। কংগ্রেস সূত্রের খবর, শক্তিসিনের ইস্তফার কারণ শুধু দুই উপনির্বাচনে হার নয়। জেলা সভাপতির পদে তাঁর গোষ্ঠীর বদলে পরিষদীয় দলনেতা অমিত ছাবড়ার গোষ্ঠীর লোকেরাই বেশি পদ পেয়েছেন। শক্তিসিনের নিজের জেলা ভাবনগরেই তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর নেতাকে জেলা সভাপতি করা হয়েছে। কংগ্রেস নেতারা বলছেন, এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঠেকাতে রাহুল দু’বার গুজরাতে গিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করেছিলেন। আমদাবাদে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকও বসেছিল। তাতেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঠেকিয়ে জয়ের রাস্তা তৈরি করা গেল না।

পঞ্জাবে পশ্চিম লুধিয়ানা আসনে উপনির্বাচনে কংগ্রেসের হারের পরে ওই আসনে প্রার্থী তথা রাজ্যের কার্যনির্বাহী সভাপতি ভরত ভূষণ আশুও ইস্তফা দিয়েছেন। আশু মনে করিয়ে দিয়েছেন, পরিষদীয় দলনেতা প্রতাপ সিংহ বাজয়া বা প্রদেশ সভাপতি অমরিন্দর রাজা ওয়ারিং তাঁকে প্রচারেসাহায্য করেননি। অথচ রাজা ওয়ারিং লুধিয়ানার সাংসদ। তিনি ভোটের আগে পূর্ব লুধিয়ানায় সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন, পশ্চিম লুধিয়ানায় যাননি। কংগ্রেস হাইকমান্ডের চিন্তা বেড়েছে। কারণ, পঞ্জাবের শাসক দল আম আদমি পার্টি প্রায় ৩৫ হাজার ভোট পেয়েছে। কংগ্রেস পেয়েছে ২৪ হাজারের মতো ভোট। কিন্তুবিজেপি প্রায় ২০ হাজার ভোট পেয়ে গিয়েছে।

দুই রাজ্যের সঙ্গে কংগ্রেস শাসিত কর্নাটক সরকারের অন্তর্দ্বন্দ্ব তুঙ্গে। কংগ্রেস সরকারে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে দলেরই দুই বিধায়ক বি এ কাগে এবং বি আর পাটিল আবাসনমন্ত্রী জ়ামির আহমেদ খানের ইস্তফা দাবি করেছেন। কংগ্রেস নেতৃত্বের আশঙ্কা, দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের রাজ্যে ফের মুখ্যমন্ত্রী পদে বদলের দাবিও উঠতে পারে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Rahul Gandhi Congress Internal conflicts Gujarat

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy