Advertisement
১১ মে ২০২৪
Farmers Protest

কৃষক আন্দোলনে মেরুকরণ ঘটাতে চাইছে কেন্দ্র, অভিযোগ জানিয়ে চিঠি ৭৫ প্রাক্তন আমলার

২৬ জানুয়ারির ঘটনার পরে কৃষকদের এক তরফা দোষারোপের চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ প্রাক্তন আমলাদের।

বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের বিরোধিতায় সরব প্রাক্তন আমলারা।

বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের বিরোধিতায় সরব প্রাক্তন আমলারা। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১০:৩১
Share: Save:

নরেন্দ্র মোদী সরকারের নয়া ৩ কৃষি আইনের বিরোধিতায় সরব হলেন দেশের ৭৫ জন প্রাক্তন শীর্ষস্থানীয় সরকারি আধিকারিক। পাশাপাশি, কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনকারী কৃষকদের প্রতি কেন্দ্র যে মনোভাব দেখাচ্ছে, খোলা চিঠিতে তার কড়া সমালোচনা করেছেন অবসরপ্রাপ্ত ওই আইএএস-আইপিএস অফিসারেরা।

দীর্ঘ সময় ধরে কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্য সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলানো ওই প্রাক্তন আধিকারিকদের অভিযোগ, গোড়া থেকেই আন্দোলনকারী কৃষকদের প্রতিপক্ষ ভেবে নিয়ে সঙ্ঘাতের পথে হেঁটেছে সরকার। অবিচার করা হচ্ছে কৃষকদের প্রতি। ওই চিঠিতে সই রয়েছে, প্রাক্তন আইএএস তথা সমাজকর্মী অরুণা রায়, আটের দশকে পঞ্জাবে সন্ত্রাস দমন অভিযানের অন্যতম কর্তা, প্রাক্তন ডিজি জুলিয়ো রিবেইরো এবং দিল্লির প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নাজিব জংয়ের।

কনস্টিটিউশনাল কনডাক্ট গ্রুপ (সিসিজি) নামে একটি মঞ্চের তরফে প্রকাশিত খোলা চিঠিতে সরকার ও শাসকদলের প্রতি অভিযোগ করে লেখা হয়েছে, ‘বার বার ব্যর্থ হলেও আঞ্চলিক, সাম্প্রদায়িক এবং অন্যান্য বিভেদরেখা টেনে কৃষক আন্দোলনে বিভাজনের চেষ্টা চলছে’। এমনকি, ২৬ জানুয়ারির ঘটনার পরে কৃষকদের এক তরফা ভাবে দোষারোপের চেষ্টা চলছে বলেও অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

দিল্লি সীমানায় কৃষকদের অবস্থান-আন্দোলনের সূচনা পর্বেই তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিল সিসিজি। ডিসেম্বরে কেন্দ্রের উদ্দেশে লেখা খোলা চিঠিতে প্রাক্তন সরকারি আধিকারিকরা অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যের এক্তিয়ারে থাকা কৃষি আইনে ব্যাপক রদবদল করে কেন্দ্র যে ভাবে বিতর্কিত ৩টি বিল পাশ করিয়েছে, তাতে সংবিধানের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় সরাসরি আঘাত করা হয়েছে। দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ওই আমলারা সরাসরি আশঙ্ক ব্যক্ত করেন, কিছু কর্পোরেট সংস্থার স্বার্থে তিনটি আইন কার্যকর হলে এক দিকে যেমন সরকারি নিয়ন্ত্রণ সরকারি নিয়ন্ত্রণ কমবে, তেমনই বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের মজুতদারি এবং কালোবাজারির আশঙ্কাও বাড়বে।

১১ ডিসেম্বরে তাঁদের ওই চিঠিকে কেন্দ্র কোনও গুরুত্ব দেয়নি এবং কৃষক আন্দোলন সমাধানে প্রয়োজনীয় সক্রিয়তা দেখায়নি বলে অভিযোগ অরুণা-নাজিব-জুলিওদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE