Advertisement
E-Paper

মাটিজুরিতে জীর্ণ সেতু, আশঙ্কা

হাইলাকান্দি-শিলচর পূর্ত সড়কে মাটিজুরি এলাকায় কাটাখাল নদীর উপর পুরনো সেতুতে বিশাল ফাটল দেখা দেওয়ায় দুর্ঘটনায় আশঙ্কায় ভুগছেন নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য, প্রতি দিন কার্যত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতু দিয়ে যাতায়াত করছেন তাঁরা। সংস্কারের অভাবে বেহাল সেতুটি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০২:৫১
কাটাখালের জীর্ণ সেতু। মাটিজুরিতে। অমিত দাসের তোলা ছবি।

কাটাখালের জীর্ণ সেতু। মাটিজুরিতে। অমিত দাসের তোলা ছবি।

হাইলাকান্দি-শিলচর পূর্ত সড়কে মাটিজুরি এলাকায় কাটাখাল নদীর উপর পুরনো সেতুতে বিশাল ফাটল দেখা দেওয়ায় দুর্ঘটনায় আশঙ্কায় ভুগছেন নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের বক্তব্য, প্রতি দিন কার্যত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতু দিয়ে যাতায়াত করছেন তাঁরা। সংস্কারের অভাবে বেহাল সেতুটি। এক দিকে বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। অন্য দিকে ঝুলে পড়েছে কংক্রিটের স্ল্যাব। সপ্তাহে দু’দিন সেতুটির নীচে বসে বাজার। সেখানে ভিড় জমে হাজারখানেক লোকের। এলাকাবাসীর বক্তব্য, ওই সময় আচমকা সেতুটি ভেঙে পড়সে অনেক প্রাণহানির আশঙ্কা থাকবে।

সেতুটির বেহাল দশার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্তৃপক্ষকে দায়ী করছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় সূত্রে খবর, তিন দিন ধরে বিপজ্জনক ওই সেতুতে যানচলাচল বন্ধ করা হয়েছে। তাতেও সমস্যা বেড়েছে। মাটিজুরি, কালাছড়া-সহ পুর্ব হাইলাকান্দির বাসিন্দারা কার্যত জেলাসদর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।

সেতুটির বেহাল দশা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন হাইলাকান্দির বিধায়ক আনোয়ার হুসেন লস্কর। তিনি বিভাগীয় বাস্তুকারকে সঙ্গে নিয়ে গত সপ্তাহে সেতু পরিদর্শন করেন। সেটি সংস্কারের জন্য রাজ্যের পূর্তমন্ত্রীর পরিমল শুক্লবৈদ্যের সঙ্গেও কথা বলেছেন। জেলার পূর্ত বিভাগের সহকারী বাস্তুকার রবীন দাস জানিয়েছেন, বিভাগীয় বিশেষজ্ঞদল সেতুটি ঘুরে দেখেছেন। আগামী কাল আরও একটি প্রতিনিধিদল সেতু পরির্দশন করবেন। রবীনবাবু জানান, ১৯৬৭ সালে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। সেটি বর্তমানে জীর্ণ হয়ে পড়েছে। নতুন সেতু নির্মানের জন্য নয়াদিল্লিতে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যাত্রী নিরাপত্তার দিকে তাকিয়েই ওই সেতু দিয়ে কয়েক দিন যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

Bridge Fear
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy